বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর, ইংলিশ লর্ড তার ডায়রিতে লিখে ছিল, যেদিন আমরা নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিলাম! সেদিন যতজন বাঙালি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখ ছিল, তারা যদি একটি একটি করে ছোট পাথর নিয়ে আমাদেরকে তারা করত, তাহলে আমরা হেরে যেতাম; বাঙালি ঐতিহাসিকভাবেই একটি তামাশা দেখা জাতি, প্রকাশ্যে একজন মানুষকে দুইজন মিলে কুপাইল; বাকি ১০ থেকে ১০ জন তামাশা দেখছে আর মহিলা তার স্বামীকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে,! বাহ্ বাহ্,,, এই পথ ভ্রষ্ট মানসিক পশু দ্বারা সভ্য দেশের আশা করা অসম্ভব,, হায়রে আমার বাংলাদেশ।
মানুষগুলো পশুর মত হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে লেবাজ পরা এক একটা জানোয়ার । রক্ত আর মাংসের গন্ধ শুকাটাই তাদের কাজ। মানুষের রক্ত মাংস পশু রক্তের চেয়ে নগন্য ।ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে দেহ থেকে মাংস লোকালয়ের সামনে হত্যা করা হচ্ছে পাখির মত , পুরিয়ে ছাই করে দিচ্ছে কেউ বাচানোর নেই , থাকবে কিভাবে!!
এমন বেপরোয়া খোলা চাপাতির,তরবারির সামনে অন্যকে বাঁচানোর সাহস কারো নেই কারণ প্রথমেই মনে পরবে ময়নাতদন্তে ডাক্তাররা বিশ্বজিতের গায়ে কোপের, প্রাণঘাতি কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি। মনে পরবে আসামীদের কারও ফাঁসি হয়নি। অধিকাংশই মুক্ত। এসব দেখেও মানুষ নিজের জিবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যকে বাঁচাতে যাবে? যাবে না। অভিজিৎ,ব্লগার লেখক,জঙ্গী হামলায় বইমেলার ফুটপাতে পরে ছিলেন। তার সাথে থাকা স্ত্রী রক্তাক্ত স্বামীকে হাসপাতালে নেবার জন্য চিৎকার করেছেন, একটা নারী সে দিন কিভাবে মানুষে সাহায্য চেয়েছে মানুষ সারা দেয়নি। কেন?
বরং তার আগে প্রশ্ন করুন বিশ্বজিতের খুনিরা মুক্ত কেন? তনু,ত্বকীদের খুনিরা অধরা কেন?
সব উত্তর এখানেই।বরগুনায় স্ত্রীর সামনে এক স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা
স্বামীর নাম- শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ
স্ত্রীর নাম- আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি
সন্ত্রাসীর নাম- নয়ন বন্ড
নয়নের দাবী, মিন্নি তার সাবেক স্ত্রী।
আবার বিষয়টি এক তরফাও হতে পারে। কিন্তু কথা হলো- ‘সুন্দরী’ মিন্নির প্রতি আসক্ত ছিলো নয়ন। রিফাত মিন্নিকে বিয়ে করলে নয়ন ক্ষেপে যায় এবং দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আজকের ঘটানাটি ভিডিওতে ধারণ হয়েছে বলে খুব আলোড়িত হচ্ছে, ঠিকক যেমন হয়েছিলো, সিলেটে বদরুল কর্তৃক খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপানোর ভিডিও। কিন্তু বাস্তবে খোজ নিলে দেখা যাবে, প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা বহু ঘটছে, কিছু লোকাল মিডিয়ায় আসছে, আর কিছু আসছে না।
অনেক সন্ত্রাসী এলাকার অনেক সুন্দরী মেয়েকে বউ ভেবে বসে আছে। যার কারণে ঐ সুন্দরীর বিয়ে হয়ে গেলে তার স্বামীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
যে মূল সমস্যাগুলোর কারণে সমাজে প্রতিনিয়ত রিফাতদের কুপিয়ে হত্যা ।
পুলিশ শুধু ফুটেজ দেখলে তো রিফাতের মত হাজার ও রিফাত রাস্তায় পরে থাকবে সমাজে এ ধরনের অরাজকতার পুনরাবৃত্তি ঘটবে!!!!!!!!
সাগর-রুনি,খাদিজা,তনু হত্যা,বিশ্ব্যজিত হত্যার মত এরাও কিছুদিন পর সবার আড়ালে চলে যাবে।
আর আমরাও ভুলে যাব !!!!!!!