শফি হুজুরবিভিন্ন সময়ে মেয়েদেরকে নিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও উনি ছিলেন বিতর্কিত এবং সমালোচিত।তিল তিল করে নিজের হাতের গড়া প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের হাতে বিদায়ের আগে এভাবে লাঞ্ছিত হয়ে যাওয়া মারা গেলেন। কিন্তু সেই সাথে এটাও সত্য ওঝা কিন্তু নিজের পোশা সাপের কামড়েই মরে।হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ কারন কি অনিয়ম না যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন? আসুন একটু বিশ্লেষন করি।
সারাদেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ, বলাৎকার ও নির্যাতনের পরিমান। অনেক মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম, মুতাওল্লি, শিক্ষক এই জঘন্য যৌন কর্মের সাথে জড়িত। অবশ্যই দূঃখজনক হলেও সত্যি এরা যখন ছোটবেলায় শফী টাইপের তেতুল হুজুরদের দ্বারা বলাৎকার বা পায়ুকামের স্বীকার হয়েছে। যে কারনে এরা মনে করে এই ধরনের হচ্ছে ইসলামে হালাল। এই কুকর্ম করার সময় এরা তাদের তালেবদের(শিক্ষার্থী) ধর্মের ফতোয়া দিয়ে যৌন সঙ্গী হতে বাধ্য করে। পরে এরা যখন বড় হয়ে কোন মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম, মুতাওল্লি, শিক্ষক বা অধ্যক্ষ হয় তখন একইভাবে যৌন কামনা বাসনা চরিতার্থ করে।
যেকারনে তা বাড়তে বাড়তে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। একেকটি মাদ্রাসা যেন শিশু নির্যাতনের অভয়আশ্রম, একেকটি ধর্ষণ ক্যাম্প। ধর্ষণ শেষে ভয়ে কিংবা আতঙ্কে অনেকে ধর্ষিত শিশুটিকে খুন পর্যন্ত করে ফেলে। নানা কারণে বেড়ে চলেছে এই ধর্ষণ। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ধর্ষক হয়ে ওঠা।
ভয়ের কথা হলো এই যে, প্রতিদিন মাদ্রাসায় যে পরিমান শিশু ধর্ষণের খবর আমরা পাই তা আসলে ঘটা ঘটনার খুবই কম একটি অংশ। এই সকল ধর্ষণের সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এখন পর্যন্ত যতগুলো শিশুর ধর্ষণ ও নির্যাতনের সংবাদ সামনে এসেছে অধিকাংশ শিশুরই বাবা মা রয়েছে। কিন্তু কওমী মাদ্রাসায় মা-বাবাহীন শিশুর পরিমান অনেক বেশি। তারা যতটা না আসে হাফেজ হতে, তারচেয়ে বেশি আসে দু’মুঠো ভাতের অভাবে। এই সকল শিশু তাদের সাথে ঘটা ঘটনার কথা কাউকেই বলতে পারে না। কারণ তাদের বলার কেউ থাকে না। আর যে সকল কেস ভিক্টিম মা-বাবাকে বলে তার অধিকাংশ মাদ্রাসার অন্য শিক্ষক, কমিটির লোকেরা বা স্থানীয় ক্ষমতাবানরা মিটিয়ে ফেলে। অর্থাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা আমরা খুব খুব কমই জানতে পারি।
ধর্ষণের বাইরেও নানা রকম অমানসিক মধ্যযুগীয় নির্যাতন করা হয় শিশুদের উপর। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা, শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে জোড়া বেত দিয়ে পিটানো, তুলে আছাড় মারা, উদোম শরীরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখাসহ নানা রকম অমানবিক নির্যাতনের শিকার এই শিশুরা হচ্ছে।
কিন্তু এভাবে আর কতো? আর কত শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে অসুস্থ জীবনযাপন করবে? কার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না? কেন এই সকল নির্যাতিত শিশুরা বিচার পাচ্ছে না? আর কত শিশুকে জীবন দিতে হবে? হারাতে হবে তার সুন্দর শৈশব? এখনও কি আমাদের সময় হয়নি এই সকল অরাজকতা আর মধ্যযুগীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর?
একটি শিশু ধর্ষণ কিংবা খুন হয়ে আমরা স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দেই, তাকে নিয়ে করা নিউজের আপডেট শেয়ার করি। এতে কিন্তু কিছুই হয় না। ধর্ষণ কমে না নির্যাতন কমে না। শিকল দিয়ে বাঁধা শিশুদের আরও খবর বের হয়। যখনই কোন নারী ধর্ষণের শিকার হয়, তখন সামান্য পরিমাণ হলেও মানুষ পথে নেমে বিচার চায়। কিন্তু একটি ছেলে শিশু ধর্ষণের শিকার হলে দুয়েকজন বড়জোড় দুয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়। এসব আর নয়। পিতা মাতাদের একটু ভাবতে কথিত ধর্মীয় শিক্ষার নামে ছেলেকে মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম, মুতাওল্লি, শিক্ষক নামধারী যৌন নিপীড়কদের হাতে তুলে দিয়ে আগামী দিনের যৌন নিপীড়ক হিসাবে গড়ে তুলছেন নাতো? এরকম হলে পরকালে জান্নাততো দুরে থাক এই সব হুজুরদের মতো আকামা কুকামের কারনে আপনার দুনিয়া যে হাবিয়া দোযখ হবে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। তাই সময় থাকতে সাবধান হন।
2 comments
মাদ্রাসায় নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথা কেন? আপনার
ধর্মীয় শিক্ষার নামে ছেলেকে মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম, মুতাওল্লি, শিক্ষক নামধারী যৌন নিপীড়কদের হাতে তুলে দিয়ে আগামী দিনের যৌন নিপীড়ক হিসাবে গড়ে তুলছেন নাতো? এই উক্তিগুলো করে আপনি সরাসরি ইসলাম বিরোধী নাস্তিকের পক্ষ নিয়েছেন।