গত বছরের এপ্রিলে লেখনীর মাধ্যমে দুর্নীতি-লুটপাটের প্রতিবাদ করেছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক মুশতাক। তিনি ৯ মাস ধরে কারারুদ্ধ ছিলেন।‘তার অপরাধ ছিল, তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে, অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। তাই কারাগারে আটকে রেখে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি ছয়বার জামিনের আবেদন করলেও তা নির্বিকারভাবে নাকচ করা হয়েছে তাবেদারী আদালত। গত ১১ জানুয়ারি কথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুস্তাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় মুসতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র্যাব তিনটি মামলা করে।
তাঁদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, তাঁরা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।
এই সব মনগড়া অভিযোগের ফিরিস্তি দেখে বুঝা যায় , এটি নিঃ সন্দেহে নির্মম রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। এটি কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।সরকারে সমালোচনা বন্ধ করতেই ব্লগার, কার্টুনিস্ট, লেখক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা। সবশেষে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যাকান্ড। এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানচ্ছি।
3 comments
আপনি যে হোন কেন সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির কলম ধরলেন তো মরলেন।
আপনি যে হোন কেন সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির কলম ধরলেন তো মরলেন।
এটি নিঃ সন্দেহে নির্মম রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড আর জন্য জবাব একদিন দিতে হবে। কারণ জোয়ার আসে ভাটা হয়