গত কয়েকদিন আগে ঢাকার গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের একটি ফ্লাট বাড়ী থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের ২১ বছর বয়সের এক তরুণীর মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। কলেজ শিক্ষার্থী মুনিয়া কুমিল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের মেয়ে। এক লক্ষ টাকায় ভাড়া করা বাসাটিতে সে একাই থাকত। কুমিল্লার একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের ঢাকার অভিজাত এলাকায় একলক্ষ টাকা বাসা ভাড়া দেয়া কি সম্ভব? উত্তর অবশ্যই না। তবে তার এই অর্থের জোগানদাতা কে? এই প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহানের গুলশান থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরন থেকে।এই ঘটনায় ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় যে মামলা করা হয়েছে তাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীর এজাহার মতে মোসারাত জাহান মিরপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। মামলার আসামি সায়েম সোবহানের সঙ্গে মোসারাতের ২০১৯ সালে পরিচয় এবং প্রনয়। মোসারাতকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী সায়েম সোবাহান রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। সেই বাসাতেই গতকাল মোসারাত জাহানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হেফাজত ইসলাম নেতা ধর্মপতি মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের ন্যায় ( যদি মামুনুল হকের স্ত্রী দাবি করা সেই জান্নাত আরা ঝর্ণা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে) এই মেয়েটি শিল্পপতি সায়েমের মানবিক স্ত্রী। মামুনুল হকের ন্যায় অনেক হেফাজতি আলমের মতে এ ধরনের বিয়ে নাকি ধর্মসম্মত। আবার অনেক আলেম বলেছেন এটা ব্যাভিচার সামিল। সুলতানী এবং মোগল আমলে রাজাবাদশাহদের হেরেম নাকি শত শত রক্ষিতা বা বর্তমান সময়ের মানবিক স্ত্রী থাকত। কিন্তু আমরা আমজনতা এটাকে পাপের কাজ মনে করলেও ধর্মপতি, শিল্পপতি বা সমাজপতিদের ক্ষেত্রে পাপাচারের সংজ্ঞা অন্যরকম। সম্পর্ক যাহাই হউক, আশ্রিতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর দায় অবশ্যই আশ্রয় দাতার। অস্বাভাবিক রঙিন স্বপ্নে বিভোর মেয়েটি হঠাৎ করে কেন কোন কারন ব্যতিত আত্মহননের পথ বেছে নেবে? হয় প্রবঞ্চার পৃথিবীতে আশাহত সাধারন মেয়েটিকে প্ররোচিত করা হয়েছে আত্মহননের নতুবা সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুদুর অতীতের আরো একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় বলা যায় এই হত্যাকাণ্ডের ও সত্য উদ্ঘাটিত হবে না ।কথায় বলে টাকায় কিনা হয়?
আমজনতার কেউ একাজ করলে অনেক আগেই তার লাল ঘরে ঠাঁই হত আর পত্রিকাগুলী ইনিয়ে বিনিয়ে প্রতিদিন খবর ছাপত। আর এখন খবর ছাপলেও বসুন্ধরা গ্রুপের নাম, আসামীর নাম অতি সন্তর্পণে এড়িয়ে যায়। অর্থবিত্ত আর প্রতিপত্তি কাছে মিডিয়ার বিবেক আজ বন্দী হলেও আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরী। আসুন আমরা সকলে সামাজিক মিডিয়ায় এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।
মেয়েটির ন্যায় সঙ্গত লোভ বা স্বপ্ন ছিল শিল্পপতির স্ত্রী হওয়ার কিন্তু লোভী ছিল বলে মনে হয় না। লোভী হলে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এভাবে জীবন দিতে হত না। বেঁচে থেকে রুপের পসরা সাজিয়ে নিজের স্বার্থ আদায় করে নিত। একজন মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য বের করা এবং দোষী ব্যাক্তিকে শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অপরাধী সমাজের যত উচ্চ আসনেই অধিষ্ঠিত থাকু্ক না কেন তার উপযুক্ত শাস্তি একান্তই জরুরী অন্যথায় এই সমাজ মানুষের সমাজ থাকেনা।
অপরাধীর যথাযথ শাস্তি হোক, মানবিক বিয়ের নামে সমাজ হতে নারী নির্যাতন দুর হোক।
3 comments
বলতো বলবেন বলেছে মামুনুল হক ধরে নিলাম একটি অপরাধ করেছে সরকার তাকে কি করলেন মিডিয়া পচাঁলেন তার কারাগারে ঢুকালেন আর এদিকে বা আনভীর সোবাহান বিয়ে করলেণ কি না প্রমানিত নয় হত্যা হল তদন্তে নির্দোষ বা কি সেলুকাস
সমাজ ব্যবস্থা এমনি আপনার টাকা আছে আপনার সাত খুন মাফ। আরা টাকা নেই পরের গাছের ডাব দেখা ও পাপ
অমানবিক দেশে মানবিক মনিবের সংখ্যা বেড়ে গেছে