নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা দিয়ে কারখানা হতে পারে, ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে অপচয়ের স্যাটেলাইট হতে পারে। কিন্তু অগ্নি নির্বাপনের জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট এদেশে হতে পারে না। পুকুর-ডোবা থেকে পানি টেনে এইখানে আগুন নিভাতে হয়।
যে সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়, সে সিঙ্গাপুরে এই মাপের একটি কারখানায় অন্তত: ২ টা ফায়ার এক্সিট, ৪ টা ইন্ড্রাষ্টিয়াল ফায়ার হাইড্রেন্ট, শতাধিক ফায়ার এক্সটেনগুইশার থাকতো। সকল কর্মীদের বছরে অন্তত: একবার মহড়া দেয়া হত আগুন লাগলে কিভাবে বের হয়ে যেতে হয়। ফায়ার এক্সিট, এক্সটেনগুইশার এগুলোর প্রতিবছর পরীক্ষা করা হত, ফায়ার এর্লামের টেস্ট করে দেখা হত অন্তত: বছরে দু’বার।
তাই বলি চিল্লাইয়া উন্নয়ন উন্নয়ন করে উন্নয়ন করা যায় না।
বড়ই বিস্ময়কর আমাদের দেশ ! এখানে লঞ্চ ডুবলে ঘটনার পর জানা যায় লঞ্চের অনুমোদন নেই। ভবনে আগুন লাগলে জানা যায় অনুমোদন নেই। গাড়ি দুর্ঘটনার পর জানা যায় ফিটনেস নেই। অথচ তদারকের দায়িত্বে থাকা নানা প্রতিষ্ঠান আছে! কিন্তু, মানুষ মরে যাওয়ার আগে কারো হুঁশ হয় না। ফলে বারবার বাবার কাঁধে ওঠে সন্তানের লাশ, সন্তানের কাঁধে বাবার। ভাই নিয়ে যাবে বোনের লাশ, বোন অপেক্ষা করবে ভাইয়ের লাশের। প্রতিটা ঘটনার পর শোনা যাবে এমন আহাজারি, ‘ও স্যার, আমার মায়ের হাড্ডিগুলা খুইজ্জা দেন স্যার।’
3 comments
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে আইন আছে কিন্তু তা শ্রেণিবিন্যাস আকারে আপনি যদি ঘুষ দিতে পারেন তাহলে আপনার অনিয়ম ও নিয়ম হয়ে যাবে। আমার প্রশ্ন বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিস সিকিউরিটির সংস্থা আছে না তারা কেন অনুসন্ধান চালায় না।
ব্যবসায়ীরা শুধু ব্যবসা ভোজে শ্রমিকদের দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করবেন আর তাদের নিরাপত্তার জন্য একটিু ভালো বব্যস্থা করেন না।
কল-কারখানা বা বড় বড় ফ্যাক্টরীগুলো সরকারের অগ্নিনির্বাক ব্যবস্থার উপর নজরদারি বাড়ালে এমন ঘটনা খুব কম ঘটবে।