তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে নতুন সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে এলেও তারা আবার মাথা চাড়া দিতে পারে।
এই উদ্বেগের পেছনে ভিত্তি হিসাবে তারা আফগান যুদ্ধ এবং সিরিয়ায় আইএস-এর পক্ষে যুদ্ধে বাংলাদেশের কিছু লোকের অংশ নেয়ার বিষয়কে তুলে ধরেন। তালেবানের কাবুল দখলের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে নানা আশঙ্কা বা উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকার রাস্তায় ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল বা সংগঠন ‘বাংলা হবে আফগান-আমরা হব তালেবান’- প্রকাশ্যে এই শ্লোগান দিয়েছে আশির দশকের শেষ দিকে। পরেও বিভিন্ন সময় ঢাকায় এমন স্লোগান দেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তান আশির দশকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে ছিল, বাংলাদেশ থেকে অনেকে আফগানিস্তানে মুজাহেদিন বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তখন আফগানিস্তান গিয়েছিলেন, এমন একজন নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তিনি তখন পাকিস্তানের করাচীতে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার সময় ২৮-বছর বয়সে করাচি থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তিনি এখন ঢাকার বাইরে একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি দাবি করেছেন, তিনি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নেননি।
তবে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সোভিয়েত বাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে কাজ করেছেন। আফগানিস্তানে যাওয়ার সেই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলাম ১৯৮৮ সালে। সে সময়ই তাবলীগ জামাতের সাথে আমরা সেখানে গেছি। আমরা পাকিস্তানের মিরানশাহ সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে গিয়েছিলাম।” আফগানিস্তান যাওয়ার পর সেখানে তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, “সেখানে যুদ্ধ ছিল। সেখানেতো সেভাবে কোন শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আমরা সেখানে মসজিদে মসজিদে ইসলামের দওয়াত দেই। বিশেষ করে মুজাহেদিনরা ছিল, তাদেরকেও আমরা দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছি।”
আফগান ফেরত এই ব্যক্তি সেখানে তার কর্মকাণ্ডের পক্ষে যুক্তিতে বলেছেন, “যেমন মনে করেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হইছে, অনেকে বিভিন্ন সহযোগিতা করেছে। মানুষ যেখানে নির্যাতিত হচ্ছে, সেখানে কিছু সহযোগিতা করতে হয়। এরকমভাবে আমরাও সেখানে (আফগানিস্তানে) তাদেরকে দ্বীনমুখী বা ইসলামমুখী করা বা দ্বীন-এ তালিমের ছোঁয়া লাগানো- এই কাজগুলো আমরা করেছি।”
তিনি জানান, ১৯৮৮ সালেই শেষদিকে তিনি আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত দিয়ে আবার পাকিস্তানের করাচিতে মাদ্রাসায় ফিরেছিলেন।
তবে তখন তিনি কতদিন আফগানিস্তানে ছিলেন-সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে মাদ্রাসায় লেখা পড়া শেষ করে ১৯৯৫ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে সেই সময় থেকে ঢাকার বাইরে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। তিনি দাবি করেন, দেশে ফিরে তিনি কোন রাজনৈতিক দল বা কোন সংগঠনে জড়াননি।
পুলিশ জানিয়েছে, আশির দশকে বাংলাদেশের অনেক যুবক যারা আফগানিস্তানে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকে দেশে ফিরে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।
‘আফগানিস্তান থেকেই’ বাংলাদেশে জেএমবি, হরকাতুল জেহাদ ও অন্যান্য জঙ্গি তৎপরতা এসেছে
জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন।
তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকেই জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে এসেছে এবং সেজন্য সেখানে আবার তালেবানের উত্থানে নতুন করে শংকার বিষয় রয়েছে।
“বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে উগ্রবাদ আগে কখনও ছিল না। আফগান ফেরতরা প্রথমে মুসলিম জাগ্রত বাহিনী গঠন করেছিল। এই জঙ্গিবাদ একেবারে আফগানিস্তান থেকে এসেছে। সেজন্য এখন আবার শংকার বিষয় আসছে,” বলেন অধ্যাপক ইয়াসমিন।
তিনি উল্লেখ করেন, আফগানিস্তান থেকে আশি এবং নব্বইয়ের দশকে যারা ফেরত এসেছিল, তাদের সঠিক তালিকাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নাই।
এখন এই আফগান ফেরতদের ব্যাপারে নতুন করে নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। আফগানিস্তান থেকে আশির দশকে যারা ফেরত এসেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম দু’জন হলেন আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নান। তাদের নেতৃত্বে জেএমবি এবং হরকাতুল জিহাদ নামের দু’টি জঙ্গি সংগঠনে ১৪জন আফগান ফেরত ছিলেন। জঙ্গি তৎপরতার দায়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ দু’জন এবং অন্য ১৪ জনের ফাঁসি হয়েছে। শুধু আফগানিস্তান নয়, কসোভো যুদ্ধ এবং সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের যুদ্ধেও বাংলাদেশের অনেক যুবক অংশ নিয়েছেন।
গত কয়েক বছরে সিরিয়া থেকে ফিরে ঢাকায় বিমান বন্দরে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত জুন মাসেই সিরিয়া থেকে ফেরত আসা একজন আইটি বিশেষজ্ঞকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
‘আল কায়দার কৌশলের ওপরই নির্ভর করছে জঙ্গিবাদের মাথা চাড়া দেবার বিষয়’
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেন সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক তাসনীম খলিল।
তিনি বলছেন, আফগানিস্তানের মুজাহেদিনের পরে তালেবানের সাথে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগাযোগ মূলত আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেটের মাধ্যমে। এখন আল কায়দার কৌশলের ওপরই বাংলাদেশের মাথা চাড়া দেয়া না দেয়ার বিষয় নির্ভর করবে বলে তিনি মনে করেন। “তালেবানের সাথে সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক হলো আল কায়দার। ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার যে শাখা আছে, তার সাথে যোগাযোগ বাংলাদেশের জঙ্গিদের,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “২০১৪ সালে আল কায়দার একটা মিডিয়া উইং আস সাহাব নয় মিনিটের একটা ভিডিও প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখানো হয়েছিল আফগানিস্তানে একটি ক্যাম্পে তালেবান এবং আল কায়দার সাথে কয়েকজন বাংলাদেশিকে।”
তিনি মনে করেন, “আল কায়দা এখন আফগানিস্তানের এই নতুন তালেবান ইস্যু কিভাবে ব্যবহার করবে-তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশে জঙ্গি বা ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথা চাড়া দেবে কিনা।
” ‘দুর্বল জঙ্গি নেটওয়ার্ক’ আবার শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা
জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ১৬ বছর আগে দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়েছিল।
এরপর সর্বশেষ ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ছিল ঢাকার গুলশানে হোলি আটিজান বেকারিতে।
হোলি আটিজানের হামলার পর আর বড় কোন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে জঙ্গি সংগঠনগুলো দূর্বল হয়েছে বলা হয়।
এরপরও এখন আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো উজ্জীবিত হতে পারে, এমন আলোচনা চলছে।
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মোখলেসুর রহমান মনে করেন, জঙ্গিরা দূর্বল হয়ে পড়লেও আফগানিস্তানের প্রেক্ষাপটে এদের নিয়ে নতুন করে চিন্তার বিষয় রয়েছে।
“আনেকেরই ধারণা বা সন্দেহ করছেন যে, আবার হয়তো সেই ধর্মীয় উগ্রবাদ বাংলাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে,” বলেন তিনি।
মি. রহমান বলেন, “যারা ছোট ছোট অংশ বিভিন্ন নামে এখানে সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের কাছে মনে হতে পারে, যেহেতু ওখানে (আফগানিস্তানে) তালেবানের আবার উত্থান হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় তাদের আদর্শ আবার পুন:স্থাপিত হবে।”
সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা শংকার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোতে নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে।”
আফগানিস্তান, কসোভো বা সিরিয়ায় যুদ্ধে বাংলাদেশের কিছু লোক গিয়েছিল, এমন ইতিহাস আছে।
কয়েকদিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামও বলেছিলেন, এবারও আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে কিছু লোক সেদেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল।
আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে সরকার
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জঙ্গী তৎপরতার প্রশ্নে সরকারের পুরোনো অবস্থানই তুলে ধরেন।
তাঁর দাবি হচ্ছে, এসব জঙ্গি সংগঠনের বাইরের কোন যোগাযোগ নেই এবং এগুলোর সাংগঠনিক শক্তি না থাকায় নতুন কোন সংকট তারা দেখেন না।
“আফগানিস্তানে এখান থেকে গেছে-এমন গুজব উঠেছিল। এটা যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর সিরিয়াতে যারা গিয়েছিল, তারা ঠিক বাংলাদেশ থেকে যায়নি।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলাদেশে যারা বিভিন্ন দেশের নাগরিক, তারা ঐসব দেশ থেকে অনেকেই সিরিয়া গিয়েছিল। তাদের অনেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।”
তিনি উল্লেখ করেছেন, “আমাদের দেশের জঙ্গিসংগঠনগুলো ছিল এখানকার ‘হোমগ্রোন’। এগুলো বাইরের দেশের কোন গোষ্ঠীর মতাদর্শের বা বাইরে থেকে কোন পরিকল্পনা করা জঙ্গি নয়।”
“আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী যারা ছিল, তারা এসব করে বিভিন্ন সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু দেশের মানুষ এদের সমর্থন করেনি। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এদের বিরোধীতা করেছে” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তালেবানের উত্থানকে ‘আফগানিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ’ হিসাবে দেখছে অনেক ইসলামপন্থী দল
তবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশে প্রচলিত সব ইসলামপন্থী দল বা সংগঠনে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের অনেকে এর বড় কারণ হিসাবে দেখছেন তালেবানের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়কে।
ইসলামপন্থী একটি দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, ইসলামপন্থী অনেক দল এবার তালেবানের যুদ্ধকে আগাসী শক্তি থেকে আফগানিস্তানের মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করে তাতে সমর্থন দিয়েছে।
“তালেবানের এটা মুক্তিযুদ্ধ ছিল। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি নয় মাস। আর তারা দখলদার আমেরিকা এবং নেটো বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০ বছর যুদ্ধ করেছে। সেই হিসাবে আমরা তালেবানদের পক্ষে ছিলাম এবং আছি,” বলেন মি: ইউসুফী।
ইসলামপন্থী দলের এই নেতার বক্তব্য হচ্ছে, “তারা যেহেতু ইসলামপন্থী, সেজন্য ইসলামপন্থী দলের মধ্যে উচ্ছ্বাস বেশী। তাই বলে আমরা উগ্রবাদের দিকে যাব না।”
তিনি মনে করেন, “কোন স্লোগান দেয়া আর বাস্তবতা এক নয়।” বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ইসলামপন্থী যে দলগুলো কাজ করে, এই দলগুলোর সাংগঠনিকভাবে তালেবান, আল কায়দা বা আইএস এর সাথে যোগাযোগ নেই-এটা বলা যায়।
তবে এই দলগুলোও শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা বা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কথা বলছে। ফলে আদর্শের দিক থেকে এসব অনেক দলের সাথে তালেবানের মিল রয়েছে।
তাসনীম খলিল মনে করেন, আফিস্তানের ঘটনা প্রচলিত ইসলামপন্থী দলগুলোকেও উজ্জীবিত করতে পারে।
“তালেবানও দেওবন্দ মাদ্রাসার আলোকে তাদের শিক্ষার কথা বলে। বাংলাদেশেও দেওবন্দ অনুসারিরাই বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা শিক্ষায় এবং ইসলামপন্থী রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। এখানে একটা মিল আছে” বলেন তাসনীম খলিল।
তিনি আরও বলেছেন, “তালেবান যদি শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে বাংলাদেশে যারা এই আইন কায়েম করতে চায়, তাদের মিল হচ্ছে। তারা এখন এক ধরনের উৎসাহ অবশ্যই পাবে।”
বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ যে মাথা চাড়া দিয়েছে, তার পেছনে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর নিজেদের শক্ত ভিত্তি ছিল বলে অনেকে মনে করেন। তবে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রশ্রয় দেয়ার বিষয় নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছে।
সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষকদের অনেকে আবার এখন নতুন করে এবং অদূর ভবিষ্যতেও শংকার বিষয় মানতে চান না।
তালেবানের আফগান দখলের পর সৌদি, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়া কী?
‘জঙ্গিবাদ প্রশয় না পেলেও বেড়েছে ধর্মীয় উগ্রতা’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান মনে করেন, সরকার এবং রাষ্ট্র থেকে জঙ্গি তৎপরতায় প্রশ্রয় না দেয়ার বিষয়টি এখন দৃশ্যমান করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষের একটা অংশে ধর্ম নিয়ে উগ্রতা বেড়েছে এবং সেটা এখন আরও বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। “একটা সময় কিন্তু আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদকে প্রমোট করা হয়েছে। “আরেকটা বিষয় আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় অংশ মানসিকভাবে ধর্মভীরুতা উগ্রবাদের দিকে গিয়েছে। সেটা আরও বাড়তে পারে বলেন অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান। কিন্তু তবে তিনি মনে করেন, “আমাদের রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে উগ্রবাদকে প্রমোট করা না হলে উগ্রবাদ পাকাপোক্তভাবে এখানে বসতে পারবে না।”
সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব রাজনীতিতে যেমন পরিবর্তন এসেছে, বাংলাদেশেও ইসলামপন্থী দলগুলো তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টিয়েছে।
এসব দলের বেশিরভাগেরই এখন সশস্ত্র বা চরম উগ্র অবস্থান নেয়ার মনোভাব নেই।
যদিও এখনও তাদের কট্টর মনোভাব রয়েছে। অন্যদিকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো দূর্বল হলেও আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এই শংকা থাকছেই।
সুত্র: বিবিসি বাংলা
7 comments
জঙ্গীবাদ বাংলাদেশে মাথাচড়া দিয়ে উঠে কিন্তু আমাদের চৌকস বাহিনীরা তা প্রতিহত করে
বাংলাদেশ এ জঙ্গীরা কোনদিনই সুবিধা করতে পারবে না যদি সরকারের মদদ না থাকে
তবে হ্যা দুর্বল জঙ্গি নেটওয়ার্ক’ আবার শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এই ডিজিটাল যুগে
তালেবান ও বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান সর্ম্পূন আলাদা তাই এ দেশে যা ইচ্ছা তা করা যাবে না
আমাদের দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী জঙ্গীদের বিরুদ্বে কঠোরভাবে সোচ্চার তাই সংগঠিকভাবে তারা শক্তিশালী হতে পারবে না
আইন-শৃংখলা বাহিনী জঙ্গীদের বিরুদ্বে কঠোরভাবে সোচ্চার তাই সাংগঠিকভাবে তারা শক্তিশালী হতে পারবে না। তবে আরো সর্তক হতে হবে।
বাক-স্বাধীনতা যখন বাধাগ্রস্ত হয় তখন সাধারন মানুষের জঙ্গীবাদের প্রতি সর্মথন চলে আসে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে