তালেবান আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই দেশটিতে নারীদের অবস্থান কি হবে তা নিয়ে সবাই চিন্তিত। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বন্দুকের সামনে ‘অকুতোভয়’ এক নারীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা আলোড়ন তুলেছে নেটমাধ্যমে। মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী কাবুলের রাস্তায় নারীদের তালেবানবিরোধী বিক্ষোভের সময় ঘটনাটি ঘটে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানের অন্তত তিনটি স্থানে তালেবান এবং পাকিস্তানের বিরোধিতায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত নারী এবং পুরুষ। এর মধ্যে নারীদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে। এসময় নারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে তালেবান যোদ্ধারা। ঠিক তখন তালেবান যোদ্ধাদের বন্দুকের মুখোমুখি দাঁড়ান আফগান এক নারী।
আফগান নারীর দিকে তাক করা ছবিটি টুইট করেছেন দেশটির সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের সাংবাদিক জাহরা রহিমী। টুইটারে প্রকাশিত এই ছবিটি যেন ১৯৮৯ সালে চীনের তিয়ানানমেনে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের সামনে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা সেই একাকী ব্যক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
রহিমী ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একজন আফগান নারী নির্ভীকভাবে তালেবান সশস্ত্র যোদ্ধার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন, যিনি তার বুকের দিকে বন্দুক তাক করেছেন।’
গত সপ্তাহ থেকে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়ছে। তালেবানের অতীত নৃশংস শাসন ফিরে আসার আশঙ্কায় দেশটিতে অনেকেই বিক্ষোভ করছেন।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ রাস্তায় মিছিল করছে, ব্যানার হাতে স্লোগান দিচ্ছে, সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা তা পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিকে বিক্ষোভের কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবারই নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। তালেবানের নতুন ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ এর নেতৃত্বে থাকবেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। এছাড়া তালেবানের নীতি-নির্ধারণী পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায় থাকা আফগানিস্তানের চরমপন্থী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছে তালেবান। এই মন্ত্রিসভায় কোনও নারী সদস্য নেই।
সুত্র: সমকাল
6 comments
আফগানিস্তান নারীরা সাহসিতার সাথে বিক্ষোভ করছে ।
নারী বা পুরুষ যেই হোক কেন সামাজিক অধিকার সবার প্রাপ্য সেটা যদি না পায় তাহলে তো আন্দোলন করবেই
এতো আন্দোলন ফল ভালো না ও হতে পারে কারণ তালেবান খুবেই কট্টরপন্থী জাতি
আফগান নারীরা খুবই সাহসী কিন্তু সদ্য দখল করা দেশে তালেবান বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম একটু যুকি আছে
নারীদের বিক্ষোভ করার কি দরকার তাদের তো আগের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে তালেবানরা
তালেবান সরকারের নারী বিরুদ্ধে যে নির্দেশান দিচ্ছি তা নারীদের পিছিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট