অনুপ পোদ্দার। ধর্মমতে সনাতন হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে পরিচয় দিতেন মুসলিম হিসেবে। স্ত্রী মারা গেছেন উল্লেখ করে বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়া সাইটে সঙ্গী খোঁজার পোস্ট দিতেন। এরপর স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবাদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে গড়ে তুলতেন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরপর সেই সম্পর্কের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে অনুপ পোদ্দার র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
অনুপ পোদ্দারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ এর সিনিয়র এসএসপি সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, বিধবা নারীদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন টাঙ্গাইলের অনুপ পোদ্দার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে নিজের পরিচয় গোপন রেখে মনির খান ও হারুন নামে দুটি আইডি ব্যবহার করতেন। এসব আইডিতে নিজেকে মুসলিম ও স্ত্রী মারা গেছেন বলে পরিচয় দিতেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়া সাইটে বিধবা পাত্রী চেয়ে পোস্ট করতেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনুপ পোদ্দার জানিয়েছেন, তার আসল নাম অনুপ পোদ্দার, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও বেসরকারি চাকরীজীবী। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের আড়ালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপত্নীক হিসেবে, মুসলিম পরিচয়ে, ভুয়া ঠিকানা, অন্যের ছবি ব্যবহার করে ‘মনির খান ও হারুন’ নামে ফেইক আইডি খুলে বিভিন্ন ম্যারেজ মিডিয়া থেকে স্বামী পরিত্যক্তা বা ডিভোর্সি মেয়েদের টার্গেট করতেন। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতার এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায়ে তাদের ইমোশনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি, ভিডিও গোপনে ধারণ করে শুরু করতেন ব্ল্যাকমেইল।
এর প্রথম পর্যায়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন হোটেলে দেখা করার এবং অবৈধ-অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলতেন। কিন্তু এতে রাজি না হলে গোপনে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা দাবি করতেন। সমাজে লোকচক্ষুর ভয়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং কেউ কেউ অল্প টাকা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন বলে জানায় র্যাব।
এসএসপি সাজেদুর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তার অনুপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্নো ছবির গ্রুপ চালাতেন। এসব গ্রুপে বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও আদান-প্রদান চলতো। আর তিনি এই গ্রুপগুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন। কেউ তার কথা না শুনলে তিনি ভিডিও ওইসব গ্রুপে ছড়িয়ে দিতেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইল ফোন থেকে দুই শতাধিক বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছে র্যাব।
সুত্র: ঢাকা টাইমস
6 comments
মুসলিম হয়ে যদি কেউ এ রকম করত তাহলে দেখা যেত চেতনাবাদীরা কিভাবে ঝাপিয়ে পড়ত
এত বড় বাটপার যে স্বামী পরিত্যক্তা বা ডিভোর্সি মেয়েদের টার্গেট করতেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই
অনুপ পোদ্দার সাথে আরো সহযোগি আছে তাদের ও গ্রেফতার করতে হবে। ম্যারেজ মিডিয়ার হাত আছে
ভন্ড প্রতারক যে দেশ ছেয়ে গেছে এ সমস্ত অপরাধ দ্বার প্রমানিত
এ সমস্ত প্রতারনা ঠকবাজি মামলাগুলি যদি দ্রুত ট্রাইবুনোলে বিচার হয় তাহলে আইনের প্রতি সাধারন মানুষের আস্তা বাড়বে
দালাল, ভন্ড প্রতারক এর বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দাবী করছি