ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গত মঙ্গলবার মীম আক্তার নামে যে স্কুলছাত্রী বিষপানে মারা গেছে, তার ডায়রিতে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পরিবার। সেখানে পাশের বাড়ির এক ছেলেকে দায়ী করে লেখা ‘বাবা বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিলো না।’
শনিবার ডায়রিটিতে পাতা উল্টানোর সময় লেখাটি চোখে পড়ে মীমের পরিবারের লোকজনের। সেখানে এভাবেই লেখা ‘বাবা মা ভাই বোনরা- তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও। বাবা তুমি এরা (পাশের) বাড়ির বাচ্চুর ছেরা (ছেলে) জহিরুলরে ক্ষমা করিও না। এ আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব না। ভালো থেকো বাবা। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিলো না।’
নিহত মীম উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় আঠারবাড়ী মহিমচন্দ্র রায় চৌধুরী (এমসি) উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র তাদের প্রতিবেশী প্রয়াত বাচ্চু মিয়ার ছেলে জহিরুল মিয়া।
চিরকুটটি পাওয়ার পর শনিবার রাতে এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে জহিরুলকে আসামি করে মীমের বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেছেন।
কিশোরীর বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী ছেলেটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সেটি আমি আগে জানতে পারিনি। চিরকুট দেখে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। আগে জানতে পারলে আমার মেয়ের এমন পরিণতি হত না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের মিয়া বলেন, কিশোরী মীম ও মামলায় অভিযুক্ত জহিরুল একই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত। করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছেলেটি একটি দোকানে কাজ নিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
সুত্রঃ সমকাল
4 comments
ছেলে মেয়ে বড় হলে পরিবারের একটু বেশি খেয়াল করা উচিত, জানি দূর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না তারপর ও অনেক সর্তক থাকা যায়।
সচেতনতার অভাবে এই একটি অপমৃত্যু হলো যা দেখে সমাজ শিক্ষা নেয় না
আত্নহত্যা না করে পরিবারকে বিষয়টি জানালে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
পরিবারের মায়ের সবদিকে খেয়াল রাখা উচিত যখন তাদের ছেলে- মেয়ে বড় হয় কার সাথে মিশে কি করে