দেশে গত আট মাসে বা ২৭৩দিনে ৮১৩ জন নারী ধর্ষণ ও ১১২ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে। এই সময়ে ১৪০ জন অপহরণ ও পাচার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২১’ উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। এ সময় জাতীয় ও স্থানীয় ২৪টি সংবাদমাধ্যমে আসা নির্যাতনের প্রতিবেদনও তুলে ধরেন তিনি।
ফোরামের সম্পাদক নাছিমা বলেন, ২০১৬-২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। প্রতি বছর এ মামলার পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৩ জন কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদনে যৌতুক, গৃহকর্মী নির্যাতন, আত্মহত্যা ও হত্যাসহ নানা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এ বিষয়ে ৯ সুপারিশ করেছে ফোরাম। শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ ঘটনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ে বিচার শেষ করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা, পৃথক অধিদপ্তর গঠন, বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফোরামের সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আরও উপস্থিত ছিলেন- এডুকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম ফারজানা, একশনএইড বাংলাদেশের চাইল্ড স্পন্সরশিপ ম্যানেজার মনিকা বিশ্বাস ও ফোরামের সদস্যরা।
সুত্র: যুগান্তর
2 comments
সঠিকভাবে হিসাব করলে আরো বেশি হওয়ার কথা। যদিও এই কাজ তথ্যগুলো বাংলাদেশ এর বর্তমান সমাজিক দূরবস্থার প্রতিচ্ছবি মাত্র
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বাংলাদেশ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে