সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সুন্দরবন ঘেঁষা গ্রামগুলোর বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি মুহূর্তে জীবন হারানোর ঝুঁকি নিয়ে নারীরা জঙ্গলে যাচ্ছেন।
কেউ ধরছেন কাকড়া, কেউ মাছ বা মাছের পোনা। কারো থাকছে তাদের শিশু সন্তানেরাও। এমন ঝুঁর্কিপূর্ণ পেশায় নারীদের নিরুৎসাহিত করতে দাবি তুলেছেন খুলনার বিশিষ্টজনেরা।
কয়রার অদিবাসী চার সন্তানের মা আম্বিয়া খাতুন দুই ঘন্টা নৌকা চালিয়ে এসেছেন সুন্দরবনে। তার সঙ্গী জামিলাসহ দু’জন গেছেন জঙ্গলের আরো গভীরে। তারা মাছ ধরছেন বরশি দিয়ে।
আম্বিয়া জানান, স্বামী অসুস্থ্য তাই পরিবারের সবার খাবার জো্গাড়ের জন্যে এই মধ্য বয়সেও জঙ্গলে এসেছেন। কারো কাছ থেকে অনুমতি নেননি। এলাকার জাহানারা এসেছেন তার ছেলেকে সঙ্গী করে জঙ্গলের নদীতে কাকড়া এবং মাছ ধরতে। তিনি অবশ্য বন বিভাগের অনুমতি নিয়েছেন।
শিশু সন্তান কোথাও রাখার ব্যবস্থা নেই সালমা ও আয়শার। তাই তাদের নিয়েই বনের কাজে এসেছেন। জানালেন, ঝুঁকি থাকার পরও এছাড়া অন্য কোন উপায়ও নেই।
এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে সুন্দরবনে নারীদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সুন্দরবন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা স্বপন গুহ।
সুন্দরবন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর হিসাব বলছে, আম্বিয়া জাহানারা আয়শা আর সালমার মত প্রতিদিন হাজার খানেক নারী সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন। তাদের সঙ্গে বনে ঢোকে একশ’রও বেশি শিশু।
Ref: একাত্তর Tv
2 comments
নারী যে ঝুকি নিয়ে কাজ করে তা মিডিয়া আসে না
সুন্দরবন অঞ্চলের নারীরা প্রতি মুহূর্তে জীবন হারানোর ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলে যাচ্ছেন তা দেখার কেউ নেই