দুপুরে বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয় সাবির মাহমুদ। পথে ভ্যানগাড়ির সঙ্গে বেঁধে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। ওই ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরেই সাবির ৩টার দিকে মাদরাসায় পোঁছায়। এই দেখে হাসাহাসি করে সহপাঠিরা। সেখানে আসেন মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ। তিনি এসে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে আসার অপরাধে সাবিরকে অমানবিক বেত্রাঘাত করেন। এ সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অন্য শিক্ষার্থীদের কোনো শাস্তি দেননি শিক্ষক আব্দুল মাজেদ।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ পলাতক আছেন ঘটনার পর থেকেই। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা সদরের জমশেদ আলীর ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী সাবির মাহমুদকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগর ভড়পাড়া গ্রামের শামীম আল মামুন পীর সাহেবের ছেলে।
সাবির মাহমুদের পরিবার জানায়, সাবিরের শরীরে ৩০টি বেত্রাগাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। সন্ধ্যায় সাবির বাড়িতে গেলে পাঞ্জাবি খোলার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। পরে সাবিরের অভিভাকরা মাদরাসা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন। একই সঙ্গে ইউএনও’র নির্দেশে সাবিরের বাবা মির্জাপুর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওই মাদরাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের ডেকে আনেন। সেখানে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত মাদরাসাশিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদকে মাদরাসা থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিনের অফিসে বসা হয়েছিল। তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Ref. kalerkantho
5 comments
সামান্য পাঞ্জাবী ছেড়া নিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার কারণে এভাবে বেত্রাঘাত করা কি কোন সুস্থ লোকের কাজ। ঐ মাজেদ কে ধরে জনতার সামনে ১০০ বেত্রাঘাত করা হোক
মানবিকতা বলতে আর কিছু থাকল না মানুষ এত নির্দয় হয় কিভাবে
শুধু অব্যহতি দিলে হবে না মানুষের সামনে ওকে এমন বেত্রাঘাত করতে হবে যাতে কেউ তার মতো আরে এমন কাজ করতে সাহাস না পায়
পাশবিক শারিরীক নির্যাতনকারী কঠিন বিচার করতে হবে, যাতে কেউ যেন এরকম কাজ করতে দ্বিতীয় বার চিন্তা করে
আধুনিক যুগেও এরকম নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না ওর কি সন্তান নেই