সাতক্ষীরার তালায় খায়রুল ইসলাম নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। খায়রুল ওমরপুর গ্রামের মৃত মুসলিম সানার ছেলে ও মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক।
জানা গেছে, খায়রুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো ওই ছাত্রী। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে কায়েক মাস আগে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন খায়রুল। তিনি গত ১১ বছর আগে ওমরপুর এলাকার ওহাব মোড়লের মেয়ে তানিয়াকে বিয়ে করেন।
এ ব্যাপারে খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছি। সে দশম শ্রেণিতে পড়লেও তার বয়স ১৯ বছর।
ওই ছাত্রীর পিতা বলেন, ‘খায়রুলকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তো। একমাত্র মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করায় আমার স্ত্রী এবং আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।’
মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসা সুপার ফজলুর রহমান জানান, আমি লোকমুখে শুনেছি খায়রুল আমাদের মাদরাসার এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খায়রুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, ১১ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে খায়রুলের বিবাহ হয়। সে সময় খায়রুলের কিছুই ছিল না। আমরা টাকা খরচ করে তাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছি। খায়রুল চাকরি পাওয়ার পর তার প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিকবার শালিসও হয়েছে। সম্প্রতি খায়রুল তার প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
5 comments
এই শিক্ষকের গোড়ায় গন্ডগোল আছে কারণ আগে নাকি একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে
চরিত্রহীন মানুষ কখনও ভালো হয় না
আমার করি এই খায়রুল ছোট বেলায় এই নিপীড়নের শিকার তাই ঐখান থেকেই তার চরিত্রহীনতা শুরু
প্রতি পিতা-মাতাকে অনুরোধ করব হুজুর হোক বা সাধু হোক কাউকেই এভাবে বিশ্বাস করবেন না কারণ তারা পুরুষ
মাদ্রাসার ছাত্রীকে বিয়ে করছে এটা দোষের কিছু না, কিন্তু যদি সেটা অবৈধভাবে হয় সেটা দোষের