ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার বিচার শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সাম জগলুল হোসেনের আদালত আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এরই সঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তিথি সরকার ও তার স্বামী শিপলু সরকারের আইনজীবী মামলার দায় হতে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। পরে শুনানি শেষে তিথি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং তিথি সরকারের স্বামী শিপলু মল্লিককে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন আদালত।
গত বছরের ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।
গত বছরের ১১ নভেম্বর নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় স্বামীর এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তিথি সরকারকে এবং তার স্বামী শিপলু মল্লিককে রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুত্রঃ আরটিভি
8 comments
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি অনেক টক শোতে অনেকেই করেন। তাদেরকেও তাহলে আইনের আওতায় আনা উচিত।
নিখোঁজ বলতে মুসলিমদের উপরে দ্বায় চাঁপাতে চেয়েছিল।
হে মানুষ আল্লাহ সাথে বেয়াদবি কইরো না.আল্লাহ যেন সবাইকে হেদায়েত করুন. আমিন
যার যার ধর্ম তারা পালন করবে, কিন্তু কেউ কাহারো ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না,,,
যারাই করবে তাদের এইভাবে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।
ভাগ্য ভালো যে গুজব রটিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলেনি ।
ওনাকে আগে ডিম থেরাপি মাধ্যমে বুঝানো হোক যে, ধর্ম নিয়ে বাড়া বাড়ি করা ঠিকনা। তারপর অন্য কথা? কেন যে, এরা পড়া শোনা করে.. কোন কাজের না,
শুধু গ্রেপ্তার করলে চলবে না এদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক
ধর্ম যার যার মানবতার ধর্ম সবার, কারো ধর্মের প্রতি উস্কানি দেওয়ার অধিকার কারো নাই। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম মানবতার ধর্ম
দয়া করে কেউ কারো ধর্মের প্রতি উস্কানি দিবেন না