বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষকদের দ্বারা যৌন নির্যাতন যেন একটি সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি মাদ্রাসায় চলছে অবাধ যৌন নির্যাতনের মহা উৎসব। তবে আশার কথা হলো যৌন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন৷সম্প্রতি । সম্প্রতি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলাধীন তালতলা ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের মাদ্রসায় যে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন চলে তা সকলের সামনে তুলে ধরতে আমাকে অনুরোধ করেছে।
মাদরাসার বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক যৌন নির্যাতন করে যাচ্ছে। অনেকে নির্যাতন সইতে না পেরে মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের অভিযোগ করলেও তারা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি।ব্যাবস্থা গ্রহন করার কথা ও না।
বর্তমান সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষকদের দ্বারা্ অধ্যায়নরত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন পাশাপাশি যৌন নির্যাতন আংশকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।অভিযোগ আছে অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষকরা এই সব শিশু কিশোরদের জোর পূর্বক যৌন কাজ লিপ্ত হতে বাধ্য করে।কোন কারনে কেউ রাজী না হলে তাকে ধর্ষন/ বলৎকার করে চুরি বা অন্য মিথ্যাঅপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে খুলনাতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শিক্ষক বলৎকার করে ।এরপর ছাত্রটি ঐ কাহিনী সবাইকে বলার হুমকি দিলে শিক্ষক নামের ঐ নরপুশু ছাত্রটিকে জবাই করে হত্যা করে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের যৌন অপরাধ নতুন নয়। ঐতিহাসিকভাবেই এই প্রবনতা লক্ষ্যনীয়। তারা কখনও সমকামি রুপে, কখনও ধর্ষক রুপে, কখনও বহুগামী, কখনও বিকৃত যৌনাচারী হিসেবে । সেটা খবরের পাতা উল্টালেই পাওয়া যায়। বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষকরূপী এইসব যৌন অপরাধীদের তৎপরতা মুক্তিযুদ্ধের সময় ও ছিল। তথা কথিত গনিমতের মাল ভোগ করতে গিয়ে তারা পাকিস্তানীদের হাতে এদেশের লক্ষ লক্ষ মা বোনদের তুলে দেয়। যৌন হয়রানির শিকার এই সব শিক্ষার্থী পরবর্তিতে দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক জটিলতা ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সংখ্যা কয়েক লাখ। এত বিপুল পরিমান শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির ঝুঁকিতে রয়েছে।মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার অভাব কতটা? তাদের নিয়ে সরকারের পর্যবেক্ষনটাই বা কি ? আমরা ভিকারুন্নেসার পরিমল, শহীদ আনোয়ারা গার্লস হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডলের এর ক্ষেত্রে যতটা তৎপরতা দেখিয়েছি বা যতটা কঠোর হয়েছি; মাদ্রাসা শিক্ষকদের যৌন অপরাধের ব্যপারে আমরা ঠিক ততটাই নিরবতা পালন করেছি। এর কারন কি? শিক্ষাগুরু রূপী ঐসব যৌন অপরাধীদের গোপন কথা ফাঁস হয়ে যাবে বলে? ইসলামের সুনাম নষ্ট হবে বলে? নাকি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে বলে?
8 comments
এ ধরনের জঘন্য কাজ আবারও সংঘটিত না হয় সেজন্য প্রশাসনকে আরও সজাগ থাকবে হবে এবং অবশ্যই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এদেরকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক, যেন এদেরকে দেখে মাদ্রাসা মসজিদের সকল আলেমদের টনক নড়ে উঠে
ভেবেছিলাম ছেলে হলে বা মেয়ে হলে মাদ্রাসায় পড়াবো বড় আলেমদের বানাবো কিন্তু এদের কার্যকলাপ দেখে আমার মন উঠে গেছে আমার পক্ষে মাদ্রাসায় পড়ানো সম্ভব না ইসলামের পথে আমি যতোটুকু পারি ততটুকু শিক্ষা দিব।
এ সব পিচাশদের শাস্তি দেওয়ার সাথে সাথে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে।
প্রত্যেকটা মাদ্রাসার হুজুরদের বিবাহিত হওয়া চায় হুজুরদের বউসহ মাদ্রাসার একটি কোয়ার্টারে থাকতে হবে
প্রতিটি মাদ্রাসায় সিসি কামেরা রাখতে হবে বাধ্যতা মুলক শিক্ষকদের মধ্যে একটি ভয় থাকে
সবার কাছে অনুরোধ শিশু বাচ্চাদের একটু কষ্ট করে বাড়িতে চোখের সামনে রেখে ধর্মিও শিক্ষা দেওয়া চেষ্টা করবেন। বাহিরে ভয়াবহ অবস্থা
সকল মাদ্রাসায় নজর দারিতে রাখা উচিত আল্লাহ আপনার পক্ষ থেকে সব মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হেফাজত করেন ।