কিশোরীর উপর নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের বীড জেলায়। গত ছয় মাস ধরে ৪০০-র বেশি ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ১৬ বছরের এক কিশোরীর। ওই নাবালিকার দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও এক পুলিশকর্মীর লালসার শিকার হতে হয়েছে তাকে। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
চলতি সপ্তাহে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। বীড জেলার পুলিশ সুপার রাজা রামাস্বামী জানিয়েছেন, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রবিবার রাজা বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুবিবাহ, ধর্ষণ, যৌননিগ্রহ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ছয়মাসে ৪০০ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীও ধর্ষণে অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, তার মা মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। আট মাস আগে তার বাবা বিয়ে দিয়ে দেন। নাবালিকার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মারধর করে। খারাপ ব্যবহার করে। সেখান থেকে পালিয়ে বাবার কাছে ফিরে এসেছিল সে। কিন্তু বাবা আশ্রয় দেননি। তার পর বীড জেলার আম্বাজোগাই বাসস্ট্যান্ডে বাধ্য হয়ে ভিক্ষা চাইতে শুরু করে সে। এই সময় থেকেই তার উপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই নাবালিকা।
এক শিশু অধিকার রক্ষা কমিটিকে কিশোরী বলেছে, ‘‘বহু লোক আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি আম্বাজোগাই থানায় অভিযোগ জানাতে অনেক বার গিয়েছি। কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এক পুলিশকর্মীও আমার উপর অত্যাচার করেছে।’’ সব শেষে এ সপ্তাহে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যদিও গ্রেফতার হয়েছে মাত্র তিন জন।সূত্র- আনন্দবাজার।
সুত্রঃ বিডি২৪লাইভ.কম
5 comments
পুলিশ অমানুষের বাচ্চা,, ভালো মানুষের বাচ্চা হলে বিচার চাইতে যাওয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করতো না
পেটে যখন প্রথম বাচ্চা আসছিল, তখন অভিযোগকারী কোথায় ছিল? যাক আমরা ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
যত দিন সমাজে বিয়ে সহজ হবে না, তত দিন সমাজে জেনা শেষ হবে না। যে সমাজে বিয়ে করা কঠিন, সেই সমাজে জেনা করা সহজ
ভারতে ধর্ষণে একটি কালচারের পরিনিত হয়েছে। তাদের সিনেমায় আরো নোংরামী
ভাবতে অবাক লাগে ভারতের মতো একটি রাষ্ট্রে ও পুলিশ অভিযোগকারীকে নির্যাতন করে