শতাধিক নারীকে পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আফগান তালেবান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার তালেবান কর্মকর্তারা জানান, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জাওজান প্রদেশে গত সোমবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১৩০ জন নারীকে পাচারের অভিযোগ আছে।
তালেবানের প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান দামুল্লাহ সিরাজ বলেন, ‘আমরা এখনো তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমরা পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা সম্পর্কে আরও জানতে পারব বলে আশা করি।’জাওজানের জেলা পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ সরদার মুবারিজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যেসব দরিদ্র নারী নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চাইতেন, তাঁদেরই নিশানা করতেন ওই পাচারকারী ব্যক্তি।
মোহাম্মদ সরদার মুবারিজ বলেন, ওই পাচারকারী দরিদ্র নারীদের বলতেন যে তিনি তাঁদের ধনী স্বামী খুঁজে দেবেন। তারপর তিনি নারীদের অন্য প্রদেশে নিয়ে যেতেন। সেখানে নিয়ে তিনি তাঁদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দিতেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে। দেশটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। জরুরি সহায়তা দেওয়া না গেলে এবারের শীত মৌসুমে অনাহারে শিশুসহ কয়েক লাখ আফগানের মৃত্যু হতে পারে।
ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আফগানিস্তানে প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ মানুষ চরম অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। পরের মাসে তারা সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়।
আফগানিস্তান আগে থেকেই বিদেশি সহায়তানির্ভর দেশ ছিল। দেশটির ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর পশ্চিমা সংস্থাগুলো সহায়তা আটকে দেয়।
সুত্রঃ প্রথম আলো
4 comments
শুধু মাত্র বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে নারী পাচার, নির্যাতন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। নারীদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা এগুলা করে তারা মানুষ নয়, জানোয়ার ন্যায়
আফগান নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে তালেবানরা এটাই প্রত্যাশা করি।
আশা করি তালেবান সরকার এই ভন্ড পাচারকারীর সঠিক বিচার করে শাস্তি দিবে।
গ্রেফ্তারকৃত পাচারকারীকে তালেবান সরকার এমন শাস্তি দিবেন যা দেখে আফগানিস্তানে দূর্ণীূতিবাজ, পাচারকারী আতংকিত হবে।