হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। এই মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণাও আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে মামুনুলকে আদালতে আনা হয়। বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় মামুনুলকে আদালতে তোলার পর ঝর্ণা তার করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। মামুনুলকে আনার কিছুক্ষণ পর ঝর্ণাও আদালত চত্বরে উপস্থিত হন। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন মামুনুল। শুরুতে তিনি ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করলেও পরে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এরপর ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা।
এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। বিয়ে করবেন বলে আর করেননি। এই মামলার আগেই ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল। এরপর সহিংসতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। ঝর্ণার মামলার পর তাকে এই মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
সুত্রঃ বিডি লাইভ 24
8 comments
আরো আগে করা দরকার ছিলো তাহলে এই আলেম নামে জালেম সম্পর্কে জানতো মানুষ দেশের এত ক্ষতি হতো না
ঝর্ণা বিবাহ ছাড়া রইলো কেন এই জেনায় জড়ালো তার ও বিচার হওয়া উচিত, আর মামুনুলহকের যা বিচার হওয়ার তা তো হচ্ছেই
সুন্নতি পর্দার ব্যাপক সুবিধা মামুনুল এর মানবিক বউ এহন বোঝেন ঠ্যালা
আমাদের হুজুর কিন্তু, অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুর বাড়িতে যেত। কোনমতে বিয়ে করার আগে অনেক দিন পরকিয়া করেছে।
প্রলোভন দেখিয়ে সাবেক বিয়ে ভাঙ্গিয়েছে
ঝর্ণা বকা বানিয়ে ইসলামের ভুল ব্যাখা করে দাসী হিসাবে ব্যবহার করেছে এই মামুনুল হক
যে মেয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেক্স করে চলে যায় তার বিরুদ্ধে কি মামলা করতে হবে
তাই তাই তাই মামা বাড়ি যাই, মামা বাড়ি ভারি মজা কিল-চড় নাই। মামু এখন মামা বাড়িতে আরো দীর্ঘদিন থাকতে পারবে।
মামুন ও তার অনুসারীরা কতগুলো মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে ভাবা যায়?