বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি মাদরাসার অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে মনিরুল ইসলাম নামে দশম শ্রেণির নামে এক শিক্ষার্থীকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে। মাত্র ১০০ টাকা পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে না পারায় হতদরিদ্র ওই শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষকে তার নিজ কার্যালয়ের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। দশম শ্রেণির প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ২২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম ১২০ টাকা পরিশোধ করেছে। অর্থিক অনটনের কারণে বাকি ১০০ টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।
এ কারণে মাদরাসার অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ শনিবার সকাল ৯টার দিকে মনিরুলকে মাদরাসার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে তার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার দুপুর একটার দিকে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর ২৮ নভেম্বর ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষার ফি চাওয়ার কারণে মনিরুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ করায় দুটি পেটোন মেরেছি।’
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্ত ইউপি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পর শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ
8 comments
মানবিকতা আজ কোন পর্যায় পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় এমনভাবে পিটালেন। এর দৃষ্টান্তমুলক বিচার হওয়া দরকার
এই রকম শিক্ষক নামের জানোয়ারের বিচার হওয়ার খুবই জরুরি। এলাকার মানুষ কি করে, আমার মাথায় আসে না। সাথে সাথে একশন। দেশে কোন সরকার নাই।
আহারে পরীক্ষার না পারাং একটা ছাত্রকে এভাবে কেউ পিটায়। মানবিক সভ্যতা ঐ শিক্ষকের মধ্যে নেই।
এই শিক্ষক মানুষ নামের শয়তান এর বিচার হওয়া উচিত। আমি সরকারের এর বিচার চাই
এদের মত শিক্ষকদের কারণে বাংলাদেশের মাদ্রাসার শিক্ষার বদনাম হচ্ছে ।মাদ্রাসা শিক্ষার নীতিমালা তৈরী করা হোক
এমন শিক্ষককে শিক্ষকতা করতে না দিয়ে রাস্তায় টেনে এনে সবার সামনে জুতাপেটা করে ,তাকে জেলে দেওয়া উচিত।
করোনার কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাই পরীক্ষা ফি দিতে না পারতে পারে তার জন্য এভাবে পিটাবে, আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না আল্লাহ তুমি এই অমানুষ গুলোকে হেদায়েত করো
করোনার কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাই পরীক্ষা ফি দিতে না পারতে পারে তার জন্য এভাবে পিটাবে, আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না আল্লাহ তুমি এই অমানুষ গুলোকে হেদায়েত করো