সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে মাহিনকে (২৩) জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানা গেছে, বর্তমান বরিশাল পুলিশ লাইনস এ কর্তব্যরত মাগুরা জেলার খালকুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা কনস্টেবল মাহিনের বিরুদ্ধে সোমবার কোতয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে মামলা করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই নারী পেশায় গৃহিণী। তার স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি বরিশাল মহিলা কলেজে পড়ালেখার সুবাধে এক বান্ধবীর মাধ্যমে ২০১৫ সালে মাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরবর্তীতে মাঝে মধ্যে আসামির সঙ্গে বাদীর কথাবার্তা হয়। তিনি বরিশালে ছেলে-সন্তানসহ প্রায় ছয় মাস ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। বাদীর স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য ও সাংসারিক ঝামেলা ছিল। সেই সুযোগে মাহিন বিগত দুই মাস ধরে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাদীর ভাড়াটিয়া বাসায় আসা-যাওয়া করে। পারিবারিক ঝামেলার কথা শুনে বাদীকে মাহিন ফুসলাতে থাকে। বাদীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে এবং চ্যাটিং করে।
গত ৫ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় কোতয়ালি মডেল থানাধীন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ নিউ সার্কুলার রোডস্থ বাদীর ভাড়া ফ্ল্যাটে গিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সরলতার সুযোগ নিয়ে বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুনরায় ধর্ষণ করে। এ ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর সাড়ে ১২টায় আগের মতো বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে বাদী মাহিনকে বাধা দেয়। এই সময় ওই নারী চিৎকার দিলে পাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাহিনকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
থানা পুলিশ তাকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।
সুত্রঃ ঢাকা টাইমস
5 comments
প্রতিটি অন্যায়ের সুষ্ঠ বিচার হলে সেই অপরাধগুলো আর বাড়তে পারে সমাজে। পুলিশ সদস্যের বিচার দ্রুত করা হোক
পুলিশরা দেশের সেবক তারাই যদি এই অপকর্ম করে তাহলে সাধারন মানুষ আর কাছে নিরাপত্তা আশা করবে
পুলিশের এই ধরনের অপরাধমুলক কাজের জন্য সমাজে নিন্দিত
সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে তাহলে বোঝেন আইন লোকেরা স্ত্রীরা ও আইনের লোকের কাছে নিরাপদ নয় আর তো সাধারন জনগণ
আমি মনে করি বাদীরও কিছু নৈতিক সমস্যা এখানে আছে যার কারণে অপরাধী অপরাধ করার সুযোগ পাইছে।