বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পিতৃহীন ধর্ষিতা কিশোরী (১৫) বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
বরগুনা থানার ওসি এ কে এম তারিকুল ইসলাম মামলা দায়ের ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফ।
বরগুনা পৌরসভার পশ্চিম বরগুনার বাসিন্দা কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী নেই। বাঁচার তাগিদে প্রতিদিন বাজারে সবজি বিক্রি করতে হয়। তার কিশোরী মেয়ে একাই বাসায় থাকত। প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের তার মেয়ের বয়সী একটি মেয়ে আছে। ওই মেয়ের সঙ্গে তার মেয়ে প্রায়ই নুরুল ইসলামের বাসায় থাকত।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানান, নুরুল ইসলামকে সে খালু ডাকত। তার বাসায় গেলে নুরুল ইসলাম তাকে আদর করার নামে জড়িয়ে ধরত। মাঝে মধ্যে ভালো খাবার দিত। একপর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এভাবে কয়েক মাস ধরে নুরুল ইসলাম কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।
কিশোরী আরও জানান, নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ একদিন তাকে জড়িয়ে ধরে বলে তোর এবং বাবার কুকর্মের কথা আমি জানি। লোকজনের কাছে তাদের কুকর্মের কথা বলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরিফ তাকে ধর্ষণ করেছে। এভাবে আরিফ তাকে আরও দুইদিন ধর্ষণ করে।
বাবা-ছেলের ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে লোকজন জেনে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা থানার অফিসার ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। এর আধাঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বরগুনা থানার ওসি এ কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ
9 comments
যেমন বাবা তেমন ছেলে। পারিবারিক শিক্ষা ভাল হলে সন্তান ও ভাল হয়।তারপর ধর্মীয় শিক্ষা। এদের দোষ প্রমাণ হলে কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া দাবি করছি যাতে এমন কারার আর কারো সাহসও না হয়।
পৃথিবীতে আর কি দেখার বাকি আছে সামনে আল্লাহই জানে,,, সবাইকে আল্লাহ সহি বুঝ দান করুক ইসলামের পথে কবুল করুক
কেয়ামতের আলামত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন আমীন।
এসব ঘটনা একের পর ঘটেই চলেছে,আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ না থাকার কারনে ঘটে,সবার সামনে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
এদের কে জনসম্মুখে ফাসি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। নয়তো বা আমাদের সমাজ টা এইভাবে নষ্টদের দখলে চলে যাবে
বাবা-ছেলে দুইজনের ফাঁসি চাই আর মেয়েটা কে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত
এর চাইতে বর লজ্জা আর কি ই বা হতে পারে,,কেয়ামতের আগে মানুষের লজ্জা কমে যাবে।
দ্রুত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হক।
যদি মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তবে মেয়েটিও দোষী এবং এটা ধর্ষন নয়,অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে এটা অবশ্যই ধর্ষন আর এই দুইজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।