শিক্ষকের নির্মম পিটুনিতে মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে দুই ছাত্র। রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে তাদের উদ্ধার করে এক নিরাপত্তা কর্মী। পরে ওই দুই ছাত্রকে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয় নিউজ টোয়েন্টিফোর। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কারণে অকারণে ছাত্রদের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে মাদ্রাসায় গিয়ে।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন। অসহায় দুই মাদ্রাসা ছাত্র রিজওয়ান ও রাফি। ওদের সঙ্গে কথা বলতেই জানা গেল-মাদ্রাসার হুজুরদের ক্রমাগত বেত্রাঘাত থেকে মুক্তি খুজতেই পালিয়ে এসেছে দুই জন। চোঁখে-মুখে ভয়-আতঙ্ক।
নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিজওয়ান। জানান-প্রায়ই নানা কারনে প্লাস্টিকের পাইপ কিংবা বেত দিয়ে শরীরে আঘাত করেন মাদ্রাসার হুজুর।
পরে রাফির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে-বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ছেলেকে নিতে আসেন তিনি। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে টঙ্গীর শিল্পাঞ্চল এলাকায় যায় নিউজ টোয়েন্টিফোর। সেখানে আসেন রিজওয়ানের বাবা। বিশ্বাসই করতে চান না-তার ছেলের মাদ্রাসায় এরকম পেটানো হয়।
শেষমেষ দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে তাদের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেয় মিডিয়াকর্মীরা
ভেতরে ঢুকতেই বেত হাতে দেখা গেল মাদ্রাসা শিক্ষক রায়হান হুজুরের। টঙ্গীর শিল্পাঞ্চল এলাকার এই বিসমিল্লাহ নূরানী মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষা নিচ্ছেন ১০০ বেশি শিক্ষার্থী।
সুত্র: নিউজ২৪
10 comments
শিক্ষকরা ছাত্রদেরকে শাসন করবে তবে সেটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত এরকম অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করার মতো নয় এসব শিক্ষকদের কারণে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকদেরকে দুর্নাম হতে হয়
এই ধরনের শিক্ষক কে আইনের আওতায় এনে সঠিক ব্যবস্থা করা উচিত।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষার উপর নীতিমালা দেওয়া উচিত
এভাবে পিটানো মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্য হতে পারে না, এমন শিক্ষা ব্যাবস্তা হওয়া উচিৎ নয়।
শিক্ষকরা এতো নিষ্ঠুর হলে শিক্ষার্থীরা একদিন হিংস্র হয়ে বেড়ে উঠবে। তখন কিন্তু জাতিই বিপদে পড়বে। শাসন ভাল কিন্তু অতি শাসন নয়।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের খুব পিটায়।এটা বন্ধ করা উচিত। হালকা শাস্তি দিতে পারে কিন্তু এমন অমানুষের মতো পারতে পারে না।খুবই দুঃখজনক
এই জালিম শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হোক। তাকেও একই শান্তি দেয়া হোক। যাতে শিক্ষক নামের জালিমরা এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হয় অতএব এদের প্রতি একটু ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
এই কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ, কারন অত্যাচারের ভয় থাকলে ছাত্ররা কি লেখা পড়া শিখবে?
আমি ও একটা মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলাম, হাফেজ হওয়ার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু এই রকম হুজুরের জন্য,আমি হাফিজ হতে পারি নাই, এত মারতো বলার বাইরে অনেকেই ভয়ে পালিয়ে যেতো,আজ এই ঘটনা দেখার পর সত্যি মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল,কারন এই রকম হুজুর এর জন্য অনেকেই হাফেজ হতে পারে না, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হক