ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে রিয়াদ। ধর্ষণের ঘটনার পর সে একটি মালবাহী ট্রাকে ও বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে আত্মগোপন করে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোলায়মান হোসেন রিয়াদ (২২) এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে এলাকায় ১০-১৩ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। সে এবং তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা অতিষ্ঠ বলেও জানান খন্দকার আল মঈন।
শুক্রবার দিবাগত (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।
আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, ইতোমধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধনসহ হালুয়াঘাটের সীমান্তে মানববন্ধন এবং গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বর্বরোচিত ও পাশবিক এই ঘটনা সবাইকে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। র্যাব এ ঘটনায় আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি রিয়াদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া স্কুল পড়ুয়া গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী এর বিবাহের অনুষ্ঠান শেষে পাঁয়ে হেটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলো। এ সময় বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা গ্রেফতারকৃত ও তার অন্যান্য সহযোগীরা দুই কিশোরীকে অনুসরণ করতে থাকে। বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে গণধর্ষণের স্বীকার হয়। একইসাথে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করে ঘাতকরা। লোক লজ্জার ভয়ে এবং প্রাণের নাশের হুমকির ভয়ে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি গোপন রাখে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে গত ৩০ ডিসেম্বর এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
8 comments
Please arrest all of those culprit and brushfire them!
To prevent all shorts of immoral activities from the society
we need some inner force. Without inculcating that force in the heart of mankind this immoral activities will not stop.
ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আগে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে, যদি প্রমাণ হয় এরাই মূল অপরাধী, তাহলে গ্রেফতার না করে ক্রস ফায়ার দেওয়াই উত্তম।
কি লাভ এদের ধরে ধর্ষণ মামলায় কয়েক মাস জেলখেটে জামিনে বেরহয়ে যাবে তারপর আবার পুরানো অপরাধ করবে। এদেশে ধর্ষণের সঠিক বিচার না হওয়ার কারনে আজ এরা ভয় পায়না
পুলিশ যদি এমন করে এ্যাকশন নেয় তাহলে বাংলার মানুষ পুলিশের উপর আস্থা পাবে।
ক্রশফায়ার দিলেই এমন অপরাধ কমবে না হয় এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে দায়ভার সরকারের কাধেই বর্তায়
এদের আদালতে বিচার হয়না । পুলিশের উচিত এদের ক্রসফায়ার দেওয়া দরকার
To be honest Only Rab can create A beautiful and peaceful country