হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে ‘ধর্ম অবমাননা’র দায়ে পাকিস্তানে এক মুসলিম নারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাওয়ালপিন্ডি শহরের একটি আদালত এ আদেশ দেন। খবর এএফপির।
সাজার আদেশ পাওয়া ওই নারীর নাম অনিকা আতিক (২৬)। ২০২০ সালের মে মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ আনা হয়, ‘ধর্ম অবমাননা’ হয় হোয়াটসঅ্যাপে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
আদালত বলেছেন, অনিকা ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর এক বন্ধু তাঁকে সেটি সরিয়ে ফেলতে বলেন। তবে ওই পরামর্শ আমলে নেননি তিনি। এর বদলে স্ট্যাটাসটি ওই বন্ধুর কাছেই পাঠিয়ে দেন।
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের তথ্য বলছে, এ অভিযোগে দেশটিতে প্রায় ৮০ জন কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেক যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের একদল জনতা শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে হত্যা করে। তিনি একটি কারখানার ব্যবস্থাপক ছিলেন। প্রকাশ্য ওই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই ঘটনাকে পাকিস্তানের জন্য লজ্জার আখ্যায়িত করেন।
সুত্র: প্রথম আলো
2 comments
জ্ঞান বিজ্ঞানের এই আধুনিক যুগে এসেও মানুষের ধর্মান্ধতা দিন দিন বেড়েই চলেছে! এমন কি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ধর্মান্ধদের কবলে হাবুডুবু খাচ্ছে
আদালতের এই রায় “মৃত্যু দণ্ড“ মানুষের বাক স্বাধীনতায় প্রতিরোধক হিসাবে গণ্য হবে