রাজশাহীর বাগমারায় নয় বছর বয়সের শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল আহমেদ (২০) নামের ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিশুশিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষার কার্যক্রম চলছে। আশপাশের শিশুশিক্ষার্থীরা সেখানে থাকত। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সেখানেই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, গত বুধবার মাদরাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে শিক্ষক শাকিল নিজ কক্ষে ডেকে নেন। এ সময় তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে ওই শিক্ষার্থীকে তার কক্ষেই বলাৎকার করেন শাকিল। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রকে হুমকিও দেন তিনি। পরে বলাৎকারের শিকার শিক্ষার্থী কৌশলে মাদরাসা থেকে বাড়িতে চলে যায়। এবং অভিভাবকদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করে।
ওসি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ মাদরাসায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদরাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলকে পুলিশ আটক করে। রাতে শিশুর বাবা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ আরটিভি
6 comments
চরিত্রহীন শিক্ষক কোন দিন ভালো কিছু শেখাতে পারে না তার বিচারের দাবি করছি। অতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি
জুতার মালা পড়িয়ে ওকে মাদ্রাসা চত্ত্বরে নাকে খৎ দেওয়া হোক
এরাই আজ ধর্মকে ভিন্ন ধর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত
সমাজের এ কি অবস্থা কোথায় কোন নিরাপত্তা নেই কি মাদ্রাসা শিক্ষক বা ইমাম হায়েনার মত ওৎ পেতে থাকে
মানুষের মানবতা উঠে যাচ্ছে কারন শিক্ষক বা ইমাম হল শিক্ষাগুরু আর তারাই যদি এই সমস্ত নোংরা কাজ করে আর বাকি রইল কারা
বলাৎকারী শিক্ষককরে ফাঁসি চাই, ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ফাঁসি কার্যকর করুন।