মাদরাসাশিক্ষকের বেদম মারধরে মাদরাসাছাত্র মো. আরিফ বিল্লাহ (৯) অসুস্থ হয়ে মৃত্যবরণ করেছেন। গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ছাত্রের মৃত্য হয়।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লংকারচর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. আরিফ বিল্লাহ শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলবাগ এতিম খানা রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় হাফেজিয়া শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো।
জানা গেছে, গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল্লার দুইশত টাকা মাদ্রাসা থেকে হারিয়ে যায়। ওই শিক্ষক চোর সন্দেহে মাদরাসার বেশ কজন ছাত্রকে মারধর করেন। এমনকি হাফেজি বিভাগের ছাত্র মো. আরিফ বিল্লাহকে রাত ৮টার দিকে বেশি মারধর করেন ওই শিক্ষক। অসুস্থ হবার পর থেকে মো. আরিফ বিল্লাহ মন্ডলবাগ গ্রামের আত্মীয় হাফিজুর রহমান মুন্সীর বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই ছাত্র বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাফিজুর রহমান মুন্সী বিষয়টি ছাত্রের বাবাকে জানান। ওই ছাত্রের ফুপা খবর পেয়ে ওই ছাত্রকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই লোহাগড়া থানায় ওই ছাত্রের মরদেহ নিয়ে আসে।
মৃত মো. আরিফ বিল্লাহ’র বাবা মো. নুর ইসলাম জানান, ‘আমার ছেলেকে শিক্ষক মো. আব্দুল্লা বেদম মারধর করেছে। যে কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি মামলা করবো।’
অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্রঃ চ্যানেল ২৪ ডট কম
9 comments
আমার এলাকার ঘটনা এখনো শিক্ষকদের বিচার হয়নি, তদন্তের মাধ্যমে বিচার করার আহ্বান জানাচ্ছি
হায়রে পিশাচ মানুষ। নবী (সা:) এর সুন্নত গায়ে নিয়া একটা সামান্য কারণে এভাবে শিশুটিকে পিটিয়ে মারলি।
এইটা কী ধরনের শিক্ষক? যাদের কার্যকলাপের কারণে মানুষ ছেলে মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াতে দিতেও ভয় পাবে”
এখন প্রায় মাদ্রাসায় এমন অন্যায় করে যাচ্ছে কিন্তু তেমন কোন প্রতিবাদ না করায় আরো বেশি হচ্ছে। কোনো বিদ্যালয়ে তো এমন ঘটনা নাই । এই শিক্ষকের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
এরা কি মানুষ নাকি অন্য কিছু ছিঃ ধিক্কার জানাই এই সমস্ত মানুষদের, এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
কিসের হুজুর ও কসাই হওয়ার যোগ্যতা রাখে না এরে জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক
মাদ্রাসা শিক্ষা আরও আপডেট হওয়া প্রয়োজন।। আমি একজন হেফজখানার শিক্ষক। তবে এই ধরনের বর্বরতার শিক্ষক যারা তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির আহবান করছি
আমি একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলছি, প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অতিসামান্য নিয়েও এই ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। অচিরেই এই ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া। উচিত।
এরকম শিক্ষককে রিমাইন্ড আওতায় আনা হোক আমরা এরকম শিক্ষক দেখতে চাই না সে তো একজন মানুষ হিসেবে অমানুষ