হবিগঞ্জে মরণনেশা ‘ড্যান্ডি’তে আসক্ত হচ্ছে ছিন্নমূল শিশুরা। ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের এসব শিশুরা নেশার টাকা যোগাড় করতে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান এসব পথশিশুদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ১০ বছর বয়সী ফাতেমা জীবনের কথা বলে ভিক্ষা করে। সাত বছর বয়সী ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে গান গেয়ে ভিক্ষা করে। অথচ এই বয়সেই ফাতেমা ড্যান্ডিতে আসক্ত।
এমন অসংখ্য ফাতেমা এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায়। স্কুল-কলেজের সামনে তাদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি।
তবে হবিগঞ্জ শহরে খোয়াই নদীর পাড়ের বস্তির বেশিরভাগ শিশু দিনে কমপক্ষে একবার হলেও পলিথিন ব্যাগের ভেতর নাক মুখ ঢুকিয়ে শ্বাস নেয়া তাদের নেশা।
জানা গেলো, পলিথিনের ব্যাগে ভরা হয় জুতা বা কাঠে ব্যবহার করা সলিউশন। এরপর ব্যাগের ভেতর বার কয়েক শ্বাস টানলেই নাকি নেশা হয়।
আর পলিথিনের মুখ ঢুকিয়ে পথ শিশুরা যা গ্রহণ করছে, তা তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে নিকষ কালো এক অন্ধকার জগতে। জড়িয়ে পরছে নানা ধরনের অপরাধে।
হবিগঞ্জ ‘সুজন’ সভাপতি ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলছেন, এই পথ শিশুদের ওপর কারো নজরদারি না থাকায় এরাই এক সময় জড়িয়ে পড়ে চুরি ছিনতাই পকেটমারের মত অপরাধে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে গালাগাল-কাজে বাধা: নিপুণের বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ দাশ জানালেন, ড্যান্ডির প্রভাবে ঝিমুনি, ক্ষুধা মন্দা, শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ শরীরের নানা অঙ্গ। আছে জীবন হারানোর শঙ্কাও।
এদিকে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, জেলার পথ শিশুদের পুনর্বাসনে জন্য শিশুদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার কাজ চলছে।
হবিগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে এমন মাদকে আসক্ত ভাসমান শিশুদের বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। আনুমানিক এই সংখ্যা হবে ৩০ জনের এর মত।
সুত্রঃ একাত্তর
2 comments
Huge population problem Bangladesh and world please control huge population enjoy happy peace life
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কিন্তু বাংলাদেশে পথ শিশুদের পূর্নবাসনের কোন সঠিক পরিকল্পনা নেই যে কারনেল আজ তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার