চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কোরআন শরীফ মুখস্থ বলতে না পারায় শিশু শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের বিষয়টি ঢাকতে শিশু শিক্ষার্থীদের মাথায় কোরআন শরীফ রেখে শপথও করিয়ে নিতেন তিনি।
দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুর গ্রামে নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ হুসাইনের এমন নির্যাতনের ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ পেলে ফুসে ওঠেন অভিভাবকরা। গতকাল মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, গত রোববার ভোরে পড়া না হওয়ায় আমাকে বেধড়ক মারধর ও চড়-ঘুষি মারেন হুসাইন হুজুর। পরে মারধরের কথা কাউকে না বলতে মাথায় কুরআন শরীফ রেখে শপথ করিয়ে নেন। পরদিন বাড়িতে গেলে মা আমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। বিষয়টি জানতে চাপাচাপি করলে আমি ঘটনাটি জানায়।
নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক জানান, আমি বিষয়টি জানতাম না। এক ছাত্রের অভিভাবকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করি। নির্যাতনের কথা স্বীকার করে আমার ছেলেসহ মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থী। পরে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির বৈঠক শেষে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হুসাইনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুত্রঃ আরিটিভি নিউজ
4 comments
কোরআন ছুয়ে শপথ ১০০% শিরক, হুজুরেদের সুবিধার্থে, এটা জায়েজ করে তারা
এই রকম শিক্ষকের শিক্ষা লাভ করে কি শিখবে কোমলমতি ছাত্ররা, যিনি নিজের স্বার্থের জন্য এই জঘণ্য কাজ করে
যে হুজুরে এভাবে শিক্ষার্থীদের মারধর করে যেভাবে কোরআন দিয়ে শপথ করিয়ে কাজটি ঠিক করেনি। তারা ছাত্রদের পড়ানোর যোগ্যতা নেই
হুজুরেরা পারেনা এমন কাজ পৃথীবিতে নাই, সব পারে ওরা নিজেদের স্বার্থের জন্য।