খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থেকে ‘জেএমবি মতাদর্শী নতুন জঙ্গি সংগঠনের’ আমিরসহ ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, র্যাব জানতে পারে, খুলনা শহরের কাশিপুর ২৫৩ বিআইডিসি রোডের আলমগীর শেখের বাড়ির তৃতীয় তলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি মতাদর্শী নতুন সংগঠন ‘জামআতুল মুসলেমিন’র একটি গোপন বৈঠক চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাত অনুমান সোয়া ১২টায় সেখানে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন (৫০), সোহেল রানা (৩০), আমিনুল (৩৮), কামরুল ইসলাম (৫৫), রিফাত রহমান (২৪), আব্দুর রউফ (৬২), মো. শেখ ফরিদ (২৭), আব্দুল আলীম (৫০), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৬) ও তালহা ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা দাবি করেন, সংগঠনটির স্বঘোষিত আমির আনোয়ার কবির মিলন ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে লেখাপড়া করেন। এরপর দেশে ফিরে এলে তার সঙ্গে ভোলা-চরফ্যাশন এলাকার প্রফেসর মজিদের পরিচয় হয়। প্রফেসর মজিদ তৎকালীন জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমান এবং শায়খ সাইদুর রহমানের অনুসারী ছিলেন। মজিদ ৬৩ জেলায় বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত এবং মামলায় কারাগারেও ছিলেন। কারাগারে থাকার সময় মজিদ জেএমবির নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখতেন। মিলন সৌদি আরব থেকে ফেরার পর থেকেই মজিদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং পরে জেএমবির বায়াত নেন। সে সময়ে মিলনের সঙ্গে জেএমবির অনেক সদস্যের পরিচয় ঘটে। সন্দেহভাজন জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য ২০১২ সালে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। এরপর থেকে একটি নিজস্ব সংগঠন তৈরির বিষয়ে পরিকল্পনা নেন। ২০১৮ সাল থেকে মজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু ব্যক্তি মিলনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সংগঠন গঠন করা এবং লোক সংগ্রহের জন্য এক হন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তারা কাজ শুরু করেন।
তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের একটি বড় অংশকে নিজেদের দলে ভেড়ানো এবং সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে সরকারকে সরিয়ে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন।
লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মিলন এবং তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরা সদস্য নিয়োগ করে এর মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা থেকে সদস্য গ্রহণের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ ও ঢাকা এলাকায় তাদের নিয়োগ কার্যক্রম ব্যাপক আকারে চলছে। এরপর কুষ্টিয়া, রাজশাহী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ এলাকাতে রিক্রুটমেন্টের পরিকল্পনা ছিল এবং ভবিষ্যতে তারা সারা দেশব্যাপী কর্মী নিয়োগের অনুপ্রেরণা দিচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার তিন দিনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়, যেখানে মূল লক্ষ্য ছিল নেতৃত্ব এবং সারা দেশে কীভাবে কার্যক্রম চলবে সেটি নিয়ে আলোচনা করা। এই প্রোগ্রামকে সফল এবং পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে নির্দেশনা পেতে সেখানে সংগঠনের শুরা সদস্যরা অংশ নেন।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
4 comments
সরকারের গদি রক্ষার জন্য আবার নাটক শুরু হয়ে গেছে, বাংলাদেশ আইন-শৃংখলা বাহিনীর এধরনের কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারা একটি দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রাখার জন্য এ ধরনের নাটক করে আসছে বরংবার। আমি বাংলাদেশের মিডিয়ার কোন খবর বিশ্বাস করিনা।
এদের নিয়ে মোটিভেশন দিয়ে ভালো পথে আনার চেষ্টা করুন।এরা এখনো যুবক ।ভুল সঙ্গে পড়ে তাদের আজ এই অবস্থা হয়েছে।
এখন জঙ্গি ধর্মের অনুসারীরা নাটক বলে বিষয়টা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ব্যর্থ অপচেষ্টা করবে
নব্য জেএমবি নয় নব্য আওয়ামী নাটক এগুলো দেশের মানুষ আর খায় না। চাল-ডাল ও তেলের দাম জনগণ যখন ফুসে উঠছে তখনা এই নাটক এর রির্হাসেল শুরু করছে সরেকার