কুমিল্লায় একটি মহিলা মাদরাসার তিন শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নরিন গ্রামের মিছবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদরাসার ছাত্রী। এসব ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বরুড়া থানায় পৃথক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বরুড়া থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার মজুমদার।
ওই শিশুদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার নরিন গ্রামের মাদরাসা লাগোয়া বাড়ির আলী আজ্জমের ছেলে আলী আকবর (৫৫) গতকাল রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে মাদরাসাটির ১০ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে তার পরিবার শিশুটিকে বরুড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই রাতে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে বরুড়া থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আলী আকবরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়।
এদিকে ওই মাদরাসার আরও ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সে শিক্ষকের তার বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার (২১ মার্চ) থানায় আরও একটি অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মাদরাসাটির মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে নামলে আলী আকবর ছোট শিশুদেরকে চকলেট, চানাচুর কিংবা নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে এ ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মো. ইলিয়াছ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ওই মাদরাসায় ৪০০ মেয়ে শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে এমন ঘটনায় ৩ জনকে অসুস্থ পাওয়া গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বরুড়া থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার মজুমদার আরটিভি নিউজকে বলেন, ওই মাদরাসা পড়ুয়া ৩ ছাত্রীর দুই পরিবার থেকে দুইটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা রেকর্ডের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত আলী আকবরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ
1 comment
এইটা ঠিক হয়নি এই মাদ্রাসার শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হোক। এদের কারণে সব মাদ্রাসার বদনাম হয় সমাজ