গাজীপুরের টঙ্গীতে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আব্দুর রহিম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মেহেদি হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকার মারকাজুল উম্মাহ আল-ইসলামী বাংলাদেশ নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন গ্রেপ্তার শিক্ষক আব্দুর রহিম। গত রোববার রাতে পড়ানোর কথা বলে মাদ্রাসার বোর্ডিং থেকে ওই শিশুকে শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাকে বলাৎকার করা হয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে নানাবিধি ভয়-ভীতিও দেখানো হয়। সোমবার সকালে শিশুটির বাবা শিশুটিকে দেখতে এস শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে এর কারণ জানতে চায়। শিশুটির বাবার চাপ প্রয়োগের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শিশুটি তার বাবাকে জানায়। পরে শিশুটির বাবা থানা পুলিশকে অবগত করন।
এসআই মেহেদি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। সোমবার দিনভর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলমান।
সুত্রঃ সমকাল
5 comments
বিচারহীনতার অভাবে এই অন্যায় কাজগুলো তার করতে সাহাস পায় যদি এ ধরনের অপরাধের বিচার দ্রুত হয় তাহলে সমাজের জন্য ভাল
দুঃখের ব্যাপার হলো যে মাদ্রাসার শিক্ষকরা এমন কাজ গুলো করে যে তাদের জন্য সমগ্র মাদ্রাসা শিক্ষকরা অপমানিত হয়
এরাই আজ ধর্মকে ভিন্ন ধর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। এবং আপনারা যারা মাদ্রাসায় বাচ্চাদের পড়ান, তারা আর একটিু সচেতন হোন
চরিত্রহীন শিক্ষক কোন দিন ভালো কিছু শেখাতে পারে না তার বিচারের দাবি করছি। এবং এমন শাস্তি দাবী করছি যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে
শিক্ষকদের এই সমস্যাগুলোর কারণে বাচ্চারা মাদ্রাসা যেতে চায় না। শুধু ছাত্রদের দোষারোপ করা হয়