নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিশুর বাবা। রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় কেন্দুয়া থানায় পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদের ইমাম তাজুল ইসলামকে একমাত্র আসামি মামলা করা হয়।
বলাৎকারের অভিযোগে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা এর আগে এলাকাবাসী অভিযুক্ত মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. শাহনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার ইমামকে আগামীকাল সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। গ্রেফতার ইমামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানার সফিলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা বড় মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাজুল ইসলাম। পাশাপাশি একই এলাকার আয়শা সিদ্দিক মহিলা মাদ্রাসায় সকালে বাচ্চাদের মক্তবে পড়াতেন। কেনু মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মত রোববার সকালেও এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা ওই মাদ্রাসার মক্তবে পড়তে যায়। সকালের মক্তব পড়ার শেষে সব বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে দিলেও দুই ছাত্রকে ইমাম তাজুল ইসলাম বলেন, পাশের বাড়ি থেকে সকালের খাবার এনে দিতে। হুজুরের কথা মত দুই শিশু পাশের এক বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে কেনু মিয়ার বাড়িতে আসার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন ইমাম তাজুল। পরে খাওয়া শেষে দুই শিশুকে তার হাত-পা, টিঁপে দিতে বলেন ইমাম। কিছু সময় পর একটি শিশুকে চলে যেতে বলে অপর শিশুকে ঘরে রেখে বলাৎকার করেন তাজুল ইসলাম।
এরপর বাড়ি গিয়ে শিশুটি তার পরিবারকে ঘটনা জানালে ভিকটিমের পরিবার এলাকাবাসীকে জানায়। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ওই মসজিদের ইমামকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আটক ইমামকে থানায় নিয়ে যায়।
সুত্রঃ একাত্তর