জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তার শাখায় তাঁর অধীনে কর্মরত একজন নারী সহকর্মী লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ ওই নারী সংসদ সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রিভিলেজ শাখা।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা বেশ কিছু দিন ধরে নারী সহকর্মীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও আপত্তিকর কথাবার্তা বলে আসছেন। অফিসকক্ষ ফাঁকা থাকলে অফিস সহায়ককে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিয়ে ওই নারী কর্মকর্তাকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতেন। ওই নারীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে কম্পিউটারে আপত্তিকর ছবি বের করে বলেন, এগুলো দেখলে মনে প্রশান্তি আসবে। ওই কর্মকর্তা ওই নারীকে মার্কেটে এবং বন্ধুর বাসায় যাওয়ারও প্রস্তাব দেন। জোর করে অনেকবার জড়িয়ে ধরেছেন, অশ্লীলতা করেছেন এমনকি শ্লীলতাহানিও করেছেন অধীনস্থ নারী সহকর্মীকে। অনুনয়, অনুরোধেও নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে থামাতে পারেননি। চাকরি আর লোক লজ্জার ভয়ে দিনের পর দিন সহ্য করে গেছেন বসের নির্যাতন। সম্প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই তো শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। করেছেন সাধারণ ডায়েরি। কিন্তু ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তার দাবি শ্লীলতাহানি নয় শাসন করেছি মাত্র। ঘটনাটি সংসদ সচিবালয়ের।
সরকারি কর্মচারী হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরির মতো অনেকটা বিরল ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ২০শে মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ওই জিডিটি করেন সংসদ সচিবালয়ের কমিটি শাখা-৬ এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নাজমুন নাহার। যার নম্বর ১২৫২। ৫০ বছর বয়সী ওই নারী কর্মচারীর স্বামীও সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা। জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে কমিটি অফিসার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এতে বলা হয়েছে, রফিকুল ইসলাম গত ৪/৫ মাস যাবৎ অশ্লীল ভাষা এবং অপ্রীতিকর কথাবার্তা বলে আসছে। আমি বার বার উনাকে জোড় হাত করে অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকতে বলেছি। কিন্তু উনি সবকিছু উপেক্ষা করে আমাকে অফিস চলাকালীন কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের নোংরা ছবি দেখিয়ে বলে-এগুলো দেখলে মনে প্রশান্তি আসে।
অবশ্য ওই কর্মকর্তা পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য ছুটিতে রয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে তাঁর সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই নারী ওয়াশরুমে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝে ওই কর্মকর্তা পথরোধ করার চেষ্টা করেন। ইজ্জত রক্ষার কথা ভেবে ওই নারী চুপ ছিলেন। কিছুদিন আগে ওই কর্মকর্তা অফিসকক্ষ ফাঁকা পেয়ে ওই নারী সহকর্মীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন, চিৎকার করলে তাঁর মুখ চেপে ধরেন এবং ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো
6 comments
এই লুচ্ছা ও হারামীকে চাকুরী থেকে বহিস্কার করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওয়তা আনা হোক। বদমায়েশ আবার ছুটি নিছে হজ্বে যাবে হজ্ব করা এতো সহজ নয়
খবরের ক্যাপসনে ঐ দুচরিত্রবান লুচ্ছার ছবি দেয়া জরুরী ছিল। যাতে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে পারত একটি নারী নির্যাতনকারীকে
দেখেন উনি সোনার ছেলে জয় বাংলার মানুষ কিনা? তাহলে সাতখুন মাপ
হজ হবে সেই কবে, এখনো তিন মাস বাকি। আর তারা নাকি ‘হজের পরে’ ব্যবস্থা নেবেন। লুচ্চাকে বাঁচিয়ে দিতে এত আগ্রহ কিসের?
হজ্জ কেন করবে সে? হজ্জ করার আগে তার শাস্তি পাওয়া দরকার , তওবা করা উচিত। তার হজ্জের কোন মুল্য নাই। আমাদের দেশের নারিবাদীরা এসব ব্যপারে মুখ খুলবে না। টিপ ইস্যুতে হৈ হুল্লোড় করবে। কারন সেখানে মৌলবাদের গন্ধ পায় সে জন্য। প্রকৃত নারীদের সম্মানের জন্য তারা কখনো প্রতিবাদ করে না।
মাননীয় ম্পিকার একজন মেধাবী মানুষ সেটা আমরা জানি, তারপরও এইরকম একজন কর্মকর্তার বেয়াদবী আচরণ জানার পরও কিভাবে হজ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন এটা বোধগম্য নয়। যত তাড়াতাড়ী সম্ভব ঐ লুচ্চা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক । একজন সরকারী কর্মচারী অবশ্য ভদ্র হতে হবে। এটাতো মাননীয় স্পিকার ভাল করে জানেন ।