নাম পরিবর্তন করে ১০ বছর আত্মগোপনে থেকেও রক্ষা পেলেন না নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ইসাবা (সামরিক) শাখার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক সদস্য।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেরারিজিম ইউনিটের একটি দল।
গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম সানোয়ার হোসেন ওরফে আব্দুর রউফ (৪৪)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার চাঁদপাড়া গ্রামে।
ছোট চাঁদপুর গ্রামে তিনি নাম পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে ছিলেন এবং রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ভেড়া লালন পালন করে আসছিলেন।
রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অ্যান্টি টেরারিজিম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম।
আখিউল জানান, জেএমবির আন্তঃকলোহের জেরে সে সময়ের স্বঘোষিত আমির সালমানকে কৌশলে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার খুশকি বোরিয়া আম বাগানে ডেকে নেন। এরপর সানোয়ার ও তার সহযোগীরা সালমানকে মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আব্দুস শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্যে পুলিশ মহানন্দা নদীর তীর পুঁতে রাখা সালমানের মাথা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাচোল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তিনি জানান, সানোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ) ছাড়াও আর দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলতবি আছে।
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ একাত্তর