খুলনার কয়রা উপজেলায় ‘মুন্ডা’ সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২২) দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে ছয় থেকে সাতজন যুবক তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার সকালে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। বেলা তিনটা পর্যন্ত তিনি থানায় ছিলেন। সেখানে তাঁকে কারও সঙ্গে দেখা ও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছিল না।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সকালের দিকে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের পক্ষ থেকে তখন সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
কয়রা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে মুন্ডা সম্প্রদায়ের কয়েক শ মানুষ বাস করেন। স্থানীয় লোকজন ও ওই নারীর স্বজনেরা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী নারীর তিন বছরের একটি সন্তান আছে। তাঁর স্বামী বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করেন। গত বছরের অক্টোবরে ইটভাটায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন। তিন দিন আগে আবার সাতক্ষীরায় ধান কাটার কাজ করতে যান তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গতকাল রাত ১১টার দিকে কয়েকজন যুবক দেশি অস্ত্র নিয়ে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
জানতে চাইলে ডি-সার্কেলের (পাইকগাছা-কয়রা) সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি বেশ স্পর্শকাতর। এ কারণে যাচাই-বাছাই না করে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। ওই নারীর লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’
লিখিত অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হবে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ারস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।
সুত্রঃ প্রথম আলো