ঢাকার একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী পড়া না পারায় তাকে মারধরের পর দেয়ালে ‘মাথা ঠুকে দেয়’৷ এ ঘটনায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ শিশুটি হাসপাতালে, অবস্থা তেমন ভাল নয়, জানিয়েছে পরিবার৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, শিশুটিকে মারধরের পর সাতদিন ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা দেওয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায় রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ ১০ বছরের ছেলেটি মাদারটেকের আদর্শ পাড়ার আয়নুল কোরআন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী৷ তাদের বাসা সবুজবাগের মাদারটেক উত্তর পাড়ায়; বাবা সুমন শিকদার পেশায় টাইলস মিস্ত্রি৷
শিশুটির বাবার করা মামলায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আমিনুল বাশার৷
ছেলেটির মা তানিয়া বেগম বলেন ‘‘পড়া না পারায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইয়াসিনকে বেধড়ক মারধর করেন মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল করিম৷ এক পর্যায়ে ইয়াসিনের মাথা ধরে দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেন৷ তখনই তার মাথা, চোখ মুখ ফুলে যায়৷’’
ঘটনার দিনই ছেলেটিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে তার বাবা অভিযোগ করেন জানিয়ে পরিদর্শক আমিনুল বাশার বলেন, ‘‘শিশুটির অবস্থা দেখে পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠায়৷’’
শুরুতে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল শিশুটির৷ সাত দিনেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে শিশুর চিকিৎসা চলছে৷ মাথা, কপাল ও দুই চোখ এখনও ফুলে নীলচে হয়ে আছে শিশুটির, জানিয়েছে শিশুর পরিবার৷
সুত্রঃ ডি ডাব্লিউ.কম