আফগানিস্তানে নারীদের বাইরে যেতে পুরো শরীর বোরকায় ঢাকা বাধ্যতামূলক করে তালেবানের জারি করা আদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। এক টুইটার পোস্টে এই উদ্বেগ জানান পাকিস্তানের নারীশিক্ষা অধিকারকর্মী। খবর এএনআইয়ের।
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা ও তালেবানপ্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার গত শনিবার জারি করা আদেশে বলা হয়, নারীদের উচিত মাথা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ঢেকে থাকা বোরকা পরা। নারীদের বাইরে যদি জরুরি কাজ না থাকে তবে বাড়িতে অবস্থান করাই ভালো।
তালেবানের জারি করা আদেশের বিষয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানান মালালা। তিনি লেখেন, আফগানিস্তানে সব ধরনের জনজীবন থেকে মেয়ে ও নারীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় তালেবান। তারা মেয়েদের স্কুলে যেতে দিতে চায় না। নারীদের কর্মস্থলে যেতে দিতে চায় না। পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাদের মুখ ও শরীর পুরোপুরি ঢেকে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।
লাখো মেয়ে ও নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তালেবানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান মালালা।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। সে সময় নারীদের এমন বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে এবার ক্ষমতা দখলের পর তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গত আমলের তুলনায় এবারের শাসনব্যবস্থা তুলনামূলক নমনীয় হবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তালেবানের কাজের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে মালালা বলেন, তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আফগান নারীদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আফগান নারীরা তাদের মানবাধিকার ও মর্যাদার দাবিতে রাস্তায় নামছে।
মালালা বলেন, ‘আমাদের সবাইকে, বিশেষ করে, মুসলিম দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের (আফগান নারী) পাশে থাকতে হবে।’
তালেবানের নতুন আদেশ নিয়ে গত রোববার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো