শেরপুরে এক কলেজছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কলেজশিক্ষক ও ভাড়াবাসার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকায় বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া জুবায়ের হোসাইন নকলা উপজেলার শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকা আইসিটি বিভাগের প্রভাষক এবং লুৎফর রহমান (৩৫) শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। এই ঘটনায় জড়িত এ্যাডভোকেট আবু রাহাত (৩৫) পালাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রভাষক জুবায়ের হোসাইনের বাড়ী শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে। তিনি তার পরিবার নিয়ে নকলায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। প্রাইভেট পড়ানোর জন্য শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লায় লুৎফর রহমানের বাসার দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মা কিডনি রোগী। তাকে নিয়ে মেয়েটির বাবা চিকিৎসার জন্য অনেক দিন ধরে ভারতে আছেন। এই সুযোড়েগ তার সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে তোলেন শিক্ষক জুবায়ের। এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন নেশার আসক্ত হন। বুধবার রাত ৯টার দিকে জুবায়ের শেরপুর ভাড়া বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে আসেন। রাতে তাদেরকে । অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন বাসার মালিক লুৎফর। বিষয়টি তিনি তার বন্ধু ও প্রতিবেশি এ্যাডভোকেট আবু রাহাতকে জানান।
পরে লুৎফর ও রাহাত এসে ওই ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং সেই রাতেই তিন মিলে মেয়েটিকে লকলায় পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি লকলা থানার পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে শিক্ষক জুবায়ের হোসাইন ও লুৎফর রহমানকে আটক করে। কিন্তু পালিয়ে যান এ্যাডভেোকেট আবু রাহাত
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক বন্দে আলী মিয়া জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্ড়ে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শেরপুর পৌর শহরের গৌরীপুর এলাকা অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনা জানার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদ বলেন, ওই শিক্ষককে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিবিসি নিউজ