খুলনা জিআরপি থানায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় খুলনা রেলওয়ের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক উছমান গণি পাঠানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ মে) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রোববার (২২ মে) বিকেলে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট যশোরে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান ভুক্তভোগী নারী। পরদিন যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় রওনা দেন। ট্রেনের টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর এক নারী পুলিশসহ আরও দুই পুলিশ তাকে আটক করেন। কারণ জানতে চাওয়ায় এ সময় নারী পুলিশ তাকে চড় মারেন। এ কারণে তার চোখে আঘাত পান। পরে একই দিন দুপুরে ট্রেন খুলনায় পৌঁছালে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কন্যাসন্তান ছিল। রাতে পুলিশ পরিদর্শক উছমান গণি থানায় এলে আটক নারী বলেন, আমার কাছে পুলিশ কোনও কিছু পায়নি। তাহলে আমাকে কেন আটক রাখা হয়েছে? তখন থানা হাজত থেকে বের তাকে অফিস রুমে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে উছমান গনি থানার পুলিশ সদস্যদের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ সময় উছমান গনি তাকে যৌন হয়রানি করেন। তখন চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় খুলনা রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। ঘটনা তদন্তে মাঠে নামেন রেলওয়ের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ। এ ছাড়াও ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি উছমান গনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তবে খুলনা জিআরপি থানার অন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ