ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক মো. মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ এপ্রিল মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীদের অভিযোগের এক মাস অতিবাহিত হলেও অধ্যক্ষ এ ঘটনায় শোকজ করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক মাকসুদ আলম ওই মাদরাসার পেছনে একটি ভাড়া বাসায় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।
তিনি বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে ছাত্রীদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন। গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষক মাকসুদ আলম ভুক্তভোগীদের মধ্যে এক ছাত্রীকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলতে থাকেন। ওই শিক্ষার্থীকে অনেক ভালো লাগে বলে জানান। একপর্যায়ে ছাত্রীকে জোরপূর্বক যৌন হয়রানি করেন। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে শিক্ষক মাকসুদ আলম তাকে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়ারনির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এছাড়াও এ সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন মাকসুদ আলম।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, শিক্ষক মাকসুদ এটি অপরাধ করেছেন। আমরা তাকে এজন্য শোকজ করেছি। তার বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শোনার পর মাদরাসার অধ্যক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষা অফিসে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ
4 comments
মাদ্রাসার পরিচালনায় সরকারের নীতিমালা খুবই প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি শারীরিক নির্যাতিন হয়। মাদ্রাসার কমিটির দ্রুত ব্যবস্থা নিক শিক্ষককের বিরুদ্বে
মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীদের অভিযোগের এক মাস অতিবাহিত হলেও অধ্যক্ষ এ ঘটনায় শোকজ করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে জানা যায়। তার মানে এই অধ্যক্ষের ও সমস্যা আছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত দাবী করছি
দু্ই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে ও প্রেপ্তার করা হোক
দু্ই ক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নকারী চরিত্রহীন শিক্ষক কোন দিন ভালো কিছু শেখাতে পারে না তার বিচারের দাবি করছি। অতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি