বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ইমামের নাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুর। তিনি জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের ঝাকুয়াপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৬টার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর ঝাকুয়া পাড়া গ্রামে ১০ বছর বয়সী শিশু বাড়ির পাশে ঝাকুয়াপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলামে কাছে অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে আরবি পড়তে যায়। পরে সকাল ৮টার দিকে আতিক হুজুর অন্য ছেলে-মেয়েদের ছুটি দিলেও ভুক্তভোগী শিশু কন্যাটিকে পরে যেতে বলেন। এরপর শিশুটিকে আতিকুল ইসলাম মসজিদ সংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগী শিশুকে হুমকি দেন। পরে বাড়িতে যাওয়ার পর শিশুটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর এলাকাবাসী আতিকুলকে আটক করে।
সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯-এর ১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। এ সময় আসামি আতিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সুত্রঃ সময় টিভি