চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে নাছির উদ্দিন (২৯) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাছির উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায়। তিনি গত ছয় বছর ধরে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাটাখালী এলাকার হোসাইনিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (৫ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ছৈয়দ বলেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক নাছির উদ্দিন কুতুবী প্রায়শই ওই ছাত্রকে বলাৎকার করত বলে স্বীকার করে। শনিবার ওই মাদ্রাসাছাত্র বাড়িতে আসার পর আর যেতে চাচ্ছিল না। মায়ের পীড়াপীড়ির কারণে একপর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষক নাছির উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে বলে জানায়।
বিষয়টিও অভিযুক্ত শিক্ষক নাছির উদ্দিন কুতুবী সবার সামনে স্বীকার করেন। এমনকি কয়েক দিন আগেও ওই ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে বলে জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমি তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
ওই ছাত্রের মা বলেন, আমাদের বাড়ির কাছেই মাদ্রাসাটি। সেখানে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো আমার সন্তান। প্রায় রাতে পড়ানোর কথা বলে আমার সন্তানকে ডেকে নিয়ে যেত। আমরাও সরল মনে তাকে মাদ্রাসায় পাঠাতাম। কিন্তু আমার সন্তানের সঙ্গে মাদ্রাসাশিক্ষক এত বড় খারাপ কাজ করবে কখনো ভাবিনি। ওই লোকটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিলকী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মাদ্রাসাশিক্ষক ছাত্র বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
4 comments
বলাৎকারের মতো এই জগন্য কাজ যে মাদ্রাসা শিক্ষক করেছে তার কঠিন শাস্তি চাই
Where our children can go? What happened with hujurs? We should have head cut law in this case if proven. we should boycott that hujurs family,
অভিভাবক তাদের সন্তানদের মাদ্রাসার আবাসিকে যেন রাখে তাতে এই ধরনের ঘটনা কমে যাবে। সেই সাথে এই জগন্য কাজ যে মাদ্রাসা শিক্ষক করেছে তার কঠিন শাস্তি চাই
নিয়োগ দেওয়ার আগে মাদ্রাসার শিক্ষক বিবাহিত কিনা? অবিবাহিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া ঠিক না