সিলেটের ওসমানীনগরে এক মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসা সুপারকে শাস্তি হিসেবে ৩০ বার কান ধরে উঠবস ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ওই মাদ্রাসা সুপারকে মুচলেকা নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছেন মাদ্রাসা কমিটি ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসার অন্য একজন শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষককে পালাতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার সাদিপুর ইউপির নুরপুর গ্রামের নুরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় ঘটেছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদির সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লন্তীর মাটি গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে ও উপজেলার সাদিপুর ইউপির নূরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার নুরপুর হফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ১১ বছরের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদির। বিষয়টি নির্যাতিত শিশু তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে অবহিত করলে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মাদ্রাসার কমিটিসহ গ্রামের মাতবরকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নির্যাতিত শিশুকে উপজেলার তাজপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে গত রোববার মাদ্রাসা কমিটিসহ গ্রামবাসী মাদ্রাসার অফিসে গিয়ে আব্দুল কাদিরকে সবার সামনে ৩০ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা মুচলেকা আদায় করে চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীর বাবাকে দেওয়া হয়। পরে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সুপার আব্দুল কাদিরকে গড়িতে তুলে পালিয়ে যেতে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ওসমানীনগর থানা পুলিশ অবহিত হবার পর ওসমানীনগর থানার এসআই সুবিনয় বৈদ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ঘটনার ৪ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বিষয়টি সালিশকারী নুরপুর গ্রামের ইয়াউর মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর তাকে আমরা গ্রামবাসীসহ কমিটির সবাই মিলে সাময়িক বরখাস্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
অভিযুক্ত সুপার আব্দুল কাদিরের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাদী মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্রঃ যুগান্তর
8 comments
মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারে শাস্তি ৩০ বার কান ধরে উঠবস, যারা এই জগন্য বিচার করেছে ঐ শিক্ষককের সাথে তাদেরও কঠিন শাস্তি চাই।
এই ধরনের অন্যায়কে ছাড় দেওয়া মোটেই ঠিক না
আমার ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে আমিতো সারাক্ষন ভয়ে থাকি হে আল্লাহ তুমি আমার ছেলেকে তোমার হেফাজতে রেখো আমিন
“ধর্ষনের নতুন আইনে বলাৎকারকারীরও ফাঁসি” আইনে এই রায়টি রাখতে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। সাংবাদিক ভাই- বোনদেন কাছেও প্রচার কামনা করছি।
মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদির এরাই হচ্ছে আসল মুনাফিক তাদেরকে ফাসি দেওয়া হোক। আর যারা বিচারের নামে প্রহসন করেছে তাদের ও বিচারের আওতায় আনা দরকার কারণে দেশে বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান
স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের ইচ্ছা মতো সালিশ-বিচার করেছে। যা আসলে ঠিক না কারণ দেশে আইন-আদালত আছে
অনেক মাদ্রাসা আছে এ কাজ করে আমি ঢাকার এক মাদ্রাসায় আমার ছেলে কে দিয়ে ছিলাম আমার ছেলে প্রায় সময় যেতে চাই তো না পড়তে আমি প্রথম বুজিনি পরে বুজে ছেলে কে নিয়ে এসেছি
আপনার মতো অনেকেই এধরনের অভিযোগ করেছে যা সত্যি খুবই চিন্তার বিষয়