সাইদুর রহমান নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার আম্বিয়া খাতুন স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
সাইদুর রহমান জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘী সগুনা গ্রামে। তাঁর সঙ্গে ১৯৯৭ সালে বিয়ে হয় তাড়াশ পৌর শহরের বাসিন্দা আবুল হোসেনের মেয়ে আম্বিয়ার। তাঁদের সংসারে এক মেয়ে রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০১৩ সালে সাইদুর রহমান রাজশাহীর পুঠিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) থাকার সময় গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়। আম্বিয়ার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। মাসে মাসে সামান্য খরচ দিয়ে সন্তানসহ তাঁকে আলাদা রাখা হয়েছে। দু-চার মাস পরপর প্রথম স্ত্রীর বাসায় এসে নির্যাতন করে চলে যান সাইদুর।
২০১৯ সালের ১২ জুন স্বামী ও তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন আম্বিয়া। পরে আইনি ঝামেলা এড়াতে শান্তিপূর্ণ সংসার করার শর্তে বাদীর সঙ্গে সমঝোতা করেন আসামি।
এরপর মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। আবারও শুরু হয় অত্যাচার। ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি ফের সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে স্বামী ও তাঁর ভাইদের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আদালত গত ৯ জানুয়ারি সাইদুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ৬ জুলাই আদালত থেকে জামিন নেন আসামি সাইদুর।
বাদী বলেন, জামিনের পরপরই মামলা তুলে নিতে বারবার চাপ দিচ্ছেন তাঁর স্বামী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি একান্তই পারিবারিক। মীমাংসার চেষ্টাও চলছে।
সুত্রঃ সমকাল