রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিকের (২৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে রংপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩-এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ১০ বছর বয়সী শিশু বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুরের কাছে অন্য ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে আরবি পড়তে যায়।
পড়া শেষে ইমাম ওই শিশুটিকে কৌশলে নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সকাল ৮টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অন্য বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে দেন আতিক।
জানা যায়, অন্য বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে কৌশলে ওই শিশুকে পরে বাড়িতে যেতে বলেন আতিক। এরপর শিশুটিকে মসজিদসংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন। পরে বাসায় যাওয়ার পর শিশুটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং এলাকাবাসী ধর্ষক আতিকুলকে আটক করে রাখে। পরে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মুক্তারুল ইসলাম বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। শিশুটির বাবা মুক্তারুল ইসলাম জানান, আদালত তাকে ন্যায়বিচার দিয়েছেন। তিনি খুশি।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ