গত বছরের এপ্রিলের দিকে ক্বারী জুবায়ের আহমেদ তাশরিফকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিজের মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন ইসলামী বক্তা আব্দুল খালেক শরিয়তপুরী। জানা গেছে, আব্দুল খালেক শরিয়তপুরীর মেয়ের নাম শরীফা ইসলাম। তার বয়স ৮ বছর। অন্যদিকে তাশরিফের বয়স ২২ বছর। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় কাবিন হয়নি। পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ঠিক করে স্টাম্প করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তাশরিফকে বলতে শোনা যায়, গত রমজানে ইফতারের দাওয়াত দেন আব্দুল খালেক শরিয়তপুরী। তখন সে তার মেয়েকে বিয়ে করতে বলেন। তাশরিফ বলেন, অভিভাবক ছাড়া কিভাবে বিয়ে হয়। অভিভাবক লাগবে না বলে মন্তব্য করেন শরীয়তপুরী।
তাশরিফ অডিওতে বলেন, এই বিয়ে মানেন না বলে বাবা জানায়। পরে বাবাকে ডেকে এনে আবার বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে। পরে শারিরীকভাবেও হেনস্থা করেন। এসময় সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। সেই কাগজ নিয়ে এক পর্যায়ে ১৭ লাখ টাকার মামলা করতে থানায় যান খালেক শরিয়তপুরী। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি।
সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় সাদা কাগজ ও স্টাম্প উদ্ধার করা হয়ে জানিয়ে ক্বারী তাশরিফ বলেন, এই বিয়ে টিকবে কি টিকবে না জানি না। এটা নিয়ে অভিভাবকরা বসবেন।
ডিভোর্সের বিষয়ে বলেন, ৮ বছর বয়সী মেয়ের কি কাবিন হয়? কাবিন না হলে ডিভোর্স হবে কোথা থেকে।
সুত্রঃ বাংলা ভিশন