চট্টগ্রামে ফটিকছড়িতে ১০ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় গ্রেফতার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, শিশুকে বলৎকারে ঘটনায় তার বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করি।
রোববার (৩ জুলাই) দিবাগর রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুল হাসান (২০) রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম এর পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মোহাম্মদ কামরুল হাসান গত ৫মাস ধরে ফটিকছড়ি পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মেয়রের বাড়ির বায়তুন নূর মোহাম্মদিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায় চাকরি করতো। গত ২৪জুন শিক্ষক কামরুল মাদ্রাসার ২তলার একটি রান্না ঘরে প্রথম নাজেরা শাখার ১০বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করে।
এরপর গত ৩০জুন একইভাবে ওই শিক্ষার্থীকে আবারো বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা আনোয়ার হোসেন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল হাসান।
জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই ওই হুজুর মাদ্রাসা থেকে পলাতক ছিল। পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মামলার মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
সুত্রঃ সময় নিউজ
9 comments
এই হুজুর সাহেব কোন ধরনের শিক্ষা দিতেন? এদের জন্য ধর্মের বদনাম করার সুযোগ পায় অন্যরা
যে সমস্ত হুজুর নামের লেবাসধারীরা এই সব ধরনের কাজ করে তাঁদের সৌদি আরবের মতো শিরচ্ছেদ করা উচিত
মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে সরকারের আরো আধুনিক শিক্ষানীতি ও নজরদারি বাড়াতে হবে তাহলে এধরনের ঘটনা কমবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন করার দাবি অনেকেরে কিন্তু সরকার এ বিষয় ধীরে চলনীতি অবলম্বন করছে।
কওমি মাদ্রাসা থেকে এমন আচরণ অস্বাভাবিকের কিছু না, এমন আর কত ঘটনা ঘটছে যা মিডিয়াতে প্রকাশ হয় না। তাই মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে সরকারের আরও আধুনিকায়ন ও নজরদারি বাড়ানো উচিৎ
মিডিয়াতে আসলেও কোন এক অজানা কারণে এদের বিচার কাজ সঠিকভাবে হয় না
এ ধরনের হুজুর নামের জানোয়ারদের কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত এদের জন্য অন্যান্য আলেমরা কলঙ্কিত হচ্ছে।
সারা বাংলাদেশের মাদ্রাসায় নতুন আইন করা হোক, শিক্ষকদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক, লাইফ সাজা দেয়া হোক, তবেই অন্য শিক্ষকরা সচেতন হবে, এধরনের অপরাধ করলে জামিন না দিয়ে দ্রুত বিচার করা হোক, তবেই এই কুলাঙ্গারদের ঠিক বিচার হবে।
আপনার দাবীগুলো যুক্তিসংগত সহমত প্রকাশ করি