পিরোজপুরের নাজিরপুরে ‘সাংবাদিক’ নামধারী শিক্ষক মো.শামসুল আরেফিন ও তার সহযোগী সোলায়মান কবির ওরফে ইকবালের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
‘সাংবাদিক’ নামধারী শিক্ষক শামসুল আরেফিন উপজেলার মুগারঝোর গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক। তার সহযোগী সোলায়মান কবির ওরফে ইকবাল স্থানীয় মুগারঝোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, গত ২১ মার্চ ওই ছাত্রীর মা আদালতে মামলা দায়ের করলে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ২১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে বিভিন্ন সময় ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে শামসুল আরেফিন তার সহযোগী ইকবালকে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুগারঝোর গ্রামের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কলেজে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো। অভিযোগ আছে, তারা তাকে নানা কুপ্রস্তাব দেয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই ছাত্রী কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত আরেফিন ওই ছাত্রীকে কথা আছে বলে রাস্তা থেকে ডেকে মুগারঝোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা তার সহযোগী ইকবাল ও আরেফিন গামছা দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর হাত-মুখ বেধে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যদিও ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক শামসুল আরেফিন দাবি করেছেন, তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয় দেয়া শিক্ষক শামসুল আরেফিন ঢাকা থেকে প্রকাাশিত ‘দৈনিক মানব কণ্ঠ’ ও ‘একাত্তর টিভি’ এর নাজিরপুর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের চেষ্টা করতেন। তবে এ বিষয়ে জানতে ওই সব মিডিয়ার পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিরা অভিযুক্ত আরেফিন তাদের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছেন বলে এমন কোন তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন। বিধান অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারেন না। এ ধরণের প্রমাণ পেলে শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সুত্রঃ দৈনিক শিক্ষা