ছিন্নমূল ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সুমন মিয়া (৩৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন শিশুদের সঙ্গে যৌন নিপীড়নের ছবি ও ভিডিওসহ মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
আজ সোমবার বিকেলে র্যাব-১১ (সিপিসি-২) কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল রোববার বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সুমন মিয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাধানগর ছেঁচড়া পুকুরিয়ার কবির হোসেনের ছেলে।
র্যাব বলছে, গতকাল এক ব্যক্তি তাঁর বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিনজন শিশুকে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে একই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সুমন মিয়ার বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, তিনি প্রায় দুবছর যাবৎ এই বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছে। অল্প বয়স্ক ছেলেদের শারীরিক নির্যাতন তাঁর এক ধরনের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে অল্প বয়স্ক ছেলেদের ওই বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজের জন্য নিয়ে আসতেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে মামা-ভাগনের সম্পর্ক তৈরি করে তাদের বিভিন্ন সময় ভাড়া বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে করে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করতেন এবং তা ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। গত তিন মাসে অভিযোগকারী তিন শিশুসহ আরও শিশুদের ধর্মপুর এলাকার একটি ছাত্রাবাসের কক্ষের ভেতরে এবং দৌলতপুর টিঅ্যান্ডটি মোড় সংলগ্ন আসামির বর্তমান ভাড়া বাসায় নিয়ে শিশুদের এ নিপীড়ন করেছেন। এ ছাড়া রেলস্টেশন ও বাসস্টেশনের ছিন্নমূল অল্প বয়সী ছেলেদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ভাড়া বাসায় নিয়ে যেতেন এবং তাদের জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করতেন।
র্যাব আরও বলছে, গ্রেপ্তার আসামির মোবাইল পর্যালোচনা করে তাঁর মোবাইলে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। যাতিনি বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে আপলোড করতেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
সুতঃ আজকের পত্রিকা