মাগুরার শালিখায় এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মাগুরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ইসরাইল মোল্যা (৫৫)। তিনি উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের সেরমত মোল্যার ছেলে এবং মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ আবেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, গত শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে ফ্রিজে রাখা মাছ আনতে তাঁর মেয়েকে পাঠান। এ সময় ওই শিক্ষক তাঁর নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ও গলায় কাঁচি ধরে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এদিকে মাছ আনতে দেরি হচ্ছে দেখে তাঁর স্ত্রী অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখেন। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভয় পেয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে দেন।
পরে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভুক্তভোগী মেয়েটির মা ও বাবাকে ১ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মাগুরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বক্তব্য নিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিশারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে।
সুত্রঃ আজকের পত্রিকা